
ছবিঃ সংগৃহীত
রান্নার অন্যতম উপাদান হলেও কাঁচা রসুন শুধু স্বাদ বাড়ায় না—শরীরের নানা রোগ প্রতিরোধেও এটি এক মহৌষধ। হাজার বছর ধরে আয়ুর্বেদ ও প্রাচীন চিকিৎসাশাস্ত্রে রসুন ব্যবহার হয়ে আসছে হৃদরোগ থেকে শুরু করে সংক্রমণ প্রতিরোধে। আধুনিক গবেষণাও বলছে, প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক কোয়া কাঁচা রসুন খাওয়ার অভ্যাস আমাদের শরীরকে বহু দিক থেকে উপকার দেয়।
চলুন জেনে নিই কাঁচা রসুন খাওয়ার ৭টি আশ্চর্য উপকারিতা—
১. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
রসুনে থাকা অ্যালিসিন নামক একটি প্রাকৃতিক যৌগ ধমনীকে প্রশস্ত করে, যার ফলে রক্তচাপ কমে আসে। হাইপারটেনশন রোগীদের জন্য কাঁচা রসুন একটি প্রাকৃতিক প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।
২. কোলেস্টেরল কমায়
রসুন নিয়মিত খেলে শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমে এবং ভালো কোলেস্টেরল (HDL) বাড়ে। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়।
৩. ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে
রসুনের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ভাইরাল উপাদান দেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। সর্দি-কাশি বা মৌসুমি ইনফেকশন প্রতিরোধেও এটি দারুণ কার্যকর।
৪. হজমে সহায়তা করে
রসুন পেটের ভালো ব্যাকটেরিয়ার কার্যক্রম বাড়ায়, ফলে হজম শক্তি বাড়ে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমে।
৫. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে
বিশেষত ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কাঁচা রসুন উপকারী। এটি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৬. ডিটক্সিফিকেশন বা শরীর পরিষ্কারে সহায়তা করে
রসুন লিভার পরিষ্কারে সাহায্য করে এবং শরীর থেকে টক্সিন দূর করে। ফলে চর্মরোগ বা অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা অনেকটাই কমে।
৭. ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক
গবেষণায় দেখা গেছে, রসুনে থাকা সালফার-যুক্ত যৌগ ক্যানসার কোষের বৃদ্ধিকে বাধা দেয়। বিশেষ করে পাকস্থলী ও কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে এটি ভূমিকা রাখতে পারে।
কিছু সতর্কতা:
কাঁচা রসুন খেতে গেলে শুরুতে একটু জ্বালাপোড়া বা গন্ধজনিত অস্বস্তি হতে পারে। তবে ধীরে ধীরে শরীর তা সহ্য করতে অভ্যস্ত হয়ে যায়।
যাদের পাকস্থলীর সমস্যা আছে বা রক্তপাতজনিত রোগে ভুগছেন, তাদের রসুন খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
আলীম