
পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলায় পরকীয়ার সন্দেহকে কেন্দ্র করে এক ইউপি সদস্য ও তার ভাবিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন ইউপি সদস্যের স্ত্রী। বর্তমানে তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শুক্রবার (২৭ জুন) রাত আনুমানিক ১১টার দিকে উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের পশ্চিম চর বলেশ্বর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন—চন্ডিপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ শহিদুল ইসলাম হাওলাদার (৫০) এবং তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী মুকুল বেগম (৫৫)। গুরুতর আহত শহিদুলের স্ত্রী রেহানা বেগম (৪২) বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিহতের মেয়ে সুমনা আক্তার তোয়া জানান, “রাতে তার বাবা বাড়ির সামনে পুকুরঘাটে বসেছিলেন। এ সময় প্রতিবেশী সৌদি প্রবাসী ইউনুস হাওলাদার, রফিকুল ইসলাম হাওলাদার, লিটন হাওলাদারসহ কয়েকজন মিলে ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার বাবার উপর হামলা চালায়। তখন তার মা রেহানা বেগম ও চাচি মুকুল বেগম ঘটনাস্থলে গিয়ে বাধা দিলে তাদেরকেও কুপিয়ে জখম করা হয়।” এমনকি শহিদুলের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাস্থলেই শহিদুল ইসলাম ও মুকুল বেগমের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত রেহানা বেগমকে প্রথমে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রবাসী ইউনুসের স্ত্রীর সঙ্গে ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলামের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সন্দেহ ছিল। এ থেকেই হত্যাকাণ্ডটি ঘটানো হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পিরোজপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাসরিন জাহান। তিনি জানান, “ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”
এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। নিহতদের পরিবার দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
সানজানা