
ছবি: জনকণ্ঠ
চরফ্যাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কেবিনে পড়ে আছেন এক বয়স্ক অজ্ঞাত নারী। যার শরীর থেকে ছড়িয়ে পড়ছে দুর্গন্ধ, ফলে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা পড়ছেন বিব্রতকর অবস্থায়।
হাসপাতালে সূত্রে জানা গেছে, প্রায় চার সপ্তাহ আগে কে বা কারা এই বয়স্ক অজ্ঞাত নারীকে হাসপাতালের নিচতলায় ফেলে রেখে যায়। পরে লোকজনের সহায়তায় তাকে চারতলায় নিয়ে কেবিনে রাখা হয়। তখন থেকেই চলে তার চিকিৎসা। অজ্ঞাত এই নারীকে তার পরিচয় বা আত্মীয়-স্বজন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি কিছুই বলতে পারেন নি। ধারণা করা হচ্ছে স্বজনরা তাকে হাসপাতালে রেখে গেছেন। প্রতিনিয়ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে এই নারীর চিকিৎসা ও সেবা চলছে।
পাশের কেবিনে চিকিৎসা নেওয়া এক রোগীর স্বজন বলেন, আজ কয়েক দিন হলো হাসপাতালে আমার রোগীকে নিয়ে আছি, জীর্ণশীর্ণ শরীর নিয়ে এই বয়স্ক নারী কেবিনের বেডে আছেন। চলাফেরা করতে পারছেন না, কাউকে চিনছেন না, কোন কথাও বলতে পারছেন না। হাসপাতালের নার্সেরা তাদের ব্যস্ততার ফাঁকে ফাঁকে এই নারীর দিকে নজর রাখছেন। তার শরীরে মাছি পোকামাকড় বাসা বাঁধছে। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে দুর্গন্ধ।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার শোভন কুমার বসাক বলেন, বিষয়টা অত্যন্ত দুঃখজনক একজন বয়স্ক নারী দীর্ঘদিন এভাবে হাসপাতালে আছে, তার কোন আত্মীয়-স্বজনকে খুজেও পাচ্ছিনা। এই নারীর বার্ধক্যজনিত সমস্যা ছাড়া তেমন উল্লেখযোগ্য রোগ নেই।
এখন মানসিক অবস্থা ঠিক রাখতে তার প্রয়োজন স্বজনদের সান্নিধ্য। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। তিনি কোন ব্যবস্থা করবেন বলে আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন।
উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মামুন হোসেন বলেন, আমরা নাম পরিচয়হীন এই নারীর আত্মীয়-স্বজনকে খুঁজে পেতে চেষ্টা করছি। পাশাপাশি বরিশালে দুটি বৃদ্ধাশ্রমে বলেছি তারা আমাদেরকে বলেছে তাকে নিয়ে যেতে শীঘ্রই টিম পাঠাবে।
শিহাব