টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে মামলা

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রামের এক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে এক কোটি চল্লিশ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করেছেন আরেক ঠিকাদার মেসার্স নাছির এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী নাছির উদ্দিন
সোমবার (২৩ জুন) চট্টগ্রামের চিফ মেট্রোপলিটন আদালতে মামলাটি করা হয় । 

অভিযুক্ত ঠিকাদারের নাম বিপ্লব সেন (৪৯)। তিনি ফিরিঙ্গীবাজারের ব্যাপ্টিস্ট মিশন রোডের মৃত অহি ভূষণ সেনের ছেলে। তার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম ‘বিএস কর্পোরেশন’।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, নগরীর ফিরঙ্গি বাজারের ভূষন সেনের পুত্র বিএস কর্পোরেশনের স্বত্বাধিকারী বিপ্লব সেন (৪৯)'র  কাছে বাদি নাছির ১ কোটি ৪০ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা পাওনা ছিলেন। ওই টাকার বিপরীতে তাকে গত ১৫ এপ্রিল সিডি৩৯০৬৯৬২ নম্বরের একটি চেক দেন বিবাদি। কিন্তু ৫ মে সিটি ব্যাংক পাহাড়তলী শাখায় গিয়ে সেই চেক তুলতে গেলে তা ডিজঅনার হয় বাদি অ্যাকাউন্টে অপর্যাপ্ত ব্যালেন্সের কারণে।

এরপর টাকা ফেরত চেয়ে ১২ মে বিপ্লব সেনকে লিগ্যাল নোটিশ দেন নাছির। কিন্তু ২০ মে সেই নোটিশ প্রাপককে খুঁজে না পাওয়ার কারণে ফেরত আসে।

এদিকে জানা গেছে, বিপ্লব সেনের সঙ্গে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নওফেল ও পটিয়ার সাবেক এমপি মোতাহেরুল ইসলামের সখ্যতা ছিল। তাদের ‘আশীর্বাদেই’ রেলের অনেকগুলো কাজ বাগিয়ে নেন তিনি।

অভিযোগ রয়েছে, নাছিরকে ব্যবসায়িক পার্টনার বানানোর নামে টাকা আত্মসাৎ করেন বিপ্লব সেন। এছাড়াও আরও কয়েকজনের কাছ থেকে এভাবে টাকা নিয়ে আর ফেরত দেননি তিনি। এমনকি পটিয়ার রতন নামে এক বাসিন্দার কাছ থেকে ৩৫ লাখ এবং তার নিকটাত্মীয় রিপন নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে সাড়ে ১৪ লাখ নিয়ে এখনও পরিশোধ করেননি বিপ্লব।

আরেক ভুক্তভোগী আকবরশাহ এলাকার মনির হোসেন জানান, বিপ্লব সেন তার কাছ থেকে ৪৫ লাখ টাকা নিয়েছেন। যার প্রেক্ষিতে ১০ লাখ ও ৫ লাখ টাকার দুটি চেক দেন। কিন্তু ব্যাংকে টাকা না থাকায় সেই চেক নগদায়ন করা যায়নি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেবো।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিপ্লব সেন পটিয়ার রিপন ও আত্মীয় রতনের টাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি জানান, নাছির তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ১৫ হাজার টাকা বেতন চাকরি করতো। নাছিরের ব্যক্তিগত ঠিকাদারি ফার্মে রেলের কাজের প্রায় দেড় কোটি টাকা রয়েছে তার।

মনির হোসেনের ৪৫ লাখ টাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।