
বাংলাদেশের জন্য গর্বের আরেকটি মুহূর্ত এনে দিলেন মেহেরপুরের এমএমএ ফাইটার মনজুর আলম। ঢাকার চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত প্রথম ডাবল হর্স নকআউট মুয়ে থাই চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের আজহারউদ্দীনকে পরাজিত করে টাইটেল বেল্ট জিতেছেন তিনি।
ডাবল হর্স নকআউট মুয়ে থাই চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের ফাইটারদের জয়জয়কার। মোট পাঁচটি টাইটেল বেল্টের মধ্যে চারটিতে অংশ নিয়ে তিনটিতে বিজয় অর্জন করে বাংলার যোদ্ধারা পুরো আসর মাতিয়ে তোলে।
সবচেয়ে আকর্ষণীয় লড়াই ছিল বাংলাদেশের রাশেদ ও ভারতের হেভিওয়েট ফাইটার ঋতিক কৈলাশের মধ্যে। তিন রাউন্ডের নিয়ম থাকলেও, রাশেদ দ্বিতীয় রাউন্ডের আগেই ভারতীয় প্রতিপক্ষকে কুপোকাত করে টাইটেল বেল্ট জিতে নেন। তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে প্রমাণ হয় কেন তাকে ‘স্লেয়ার’ নামে ডাকা হয়।
রাশেদ বলেন, “প্রতিপক্ষকে দেখে বুঝেছিলাম একটু বেশি আত্মবিশ্বাসী। কিন্তু আমি নিজের মধ্যে শান্ত ছিলাম, গেমপ্ল্যান ছিল মাথা ঠান্ডা রেখে লড়াই করা। আল্লাহর রহমতে সব ঠিকঠাক হয়েছে।”
রাশেদের পাশাপাশি বাংলাদেশের মনজুর আলমও ভারতের আজহারউদ্দীনকে হারিয়ে টাইটেল বেল্ট জিতে নেন। সাফল্যের এই ধারা প্রমাণ করে, বাংলাদেশের মুয়ে থাই ফাইটাররা এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো সক্ষম।
মনজুর আলম বলেন, “আমি একজন সাধারণ কৃষকের সন্তান, আর্থিক অবস্থাও তেমন ভালো না। কিন্তু মনোবল আর কঠোর পরিশ্রম আমাকে আজকের এই জায়গায় এনেছে।”
প্রতিযোগিতার সময় দর্শকদের উৎসাহ, ঢাকঢোল ও জাতীয় পতাকা ওড়ানো ছিল চোখে পড়ার মতো। পুরো অনুষ্ঠানটি জুড়ে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
এই প্রতিযোগিতার প্রধান পৃষ্ঠপোষক জুবনা গ্রুপ, যারা আগামী দশ বছর নিয়মিত মুয়ে থাই চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজনের লক্ষ্য ঘোষণা করেছে। পুরো আসরজুড়ে জুবনা গ্রুপের সিইও ইয়াসিন ইসলাম নাজেল স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে হাতে হাত রেখে কাজ করেন।
চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশসহ চারটি দেশের মোট ৪০ জন ফাইটার অংশগ্রহণ করেন। এই আয়োজন মুয়ে থাইকে বাংলাদেশে জনপ্রিয় করে তোলার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
সংগঠক ও অংশগ্রহণকারীরা বলেন, এটা শুধু একটি খেলা নয়, আত্মরক্ষার একটি শক্তিশালী মাধ্যম। এতো বড় পরিসরের আয়োজন এ দেশে এই প্রথম।
সানজানা