ছবি: সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোড়ন তুলেছে এক বিস্ফোরক দাবি—যুক্তরাষ্ট্র নাকি ইরানকে ৩০ বিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তা দিতে চায় বেসামরিক পারমাণবিক কর্মসূচির জন্য। তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই দাবিকে সোজাসাপ্টা ‘মিথ্যা ও বানোয়াট’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
সিএনএন ও এনবিসি নিউজ দাবি করেছিল, ইরান যদি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করে, তাহলে ওয়াশিংটন আর্থিক প্রণোদনার চিন্তা করছে। তবে ট্রাম্প শুক্রবার রাতে ট্রুথ সোশাল-এ লিখেছেন, “কে এই ভুয়া সংবাদ মাধ্যমের ঘৃণ্য লোক যে বলছে আমি ইরানকে ৩০ বিলিয়ন ডলার দিতে চাই বেসামরিক পারমাণবিক প্ল্যান্ট বানাতে? এমন হাস্যকর প্রস্তাব আমি জীবনে শুনিনি। এটি সম্পূর্ণ ভুয়া খবর—একটি প্রতারণা।”
জানা গেছে, এই আলোচনাগুলো ছিল একান্তই গোপন ও প্রাথমিক পর্যায়ে। সূত্র বলছে, এটি ছিল সম্ভাব্য কূটনৈতিক সমঝোতার একটি অংশ, যেখানে ইরান পারমাণবিক কার্যক্রম সীমিত রাখবে, আর যুক্তরাষ্ট্র দেবে কিছু অর্থনৈতিক ছাড়।
ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুদ্ধবিরতি:
ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ট্রাম্প সম্প্রতি একটি যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানে হামলা চালানোর পর এই দ্বন্দ্ব শুরু হয়। পাল্টা প্রতিশোধে ইরানও মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা করে। তবে শেষ পর্যন্ত কূটনৈতিক চাপে আসেন দুই পক্ষ।
ভবিষ্যতের ঝুঁকি?
বিশ্বজুড়ে উদ্বেগের বিষয় হলো—ইরান ও ইসরায়েলের পারমাণবিক সক্ষমতা। ইসরায়েলের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র আছে বলে প্রচলিত ধারণা থাকলেও তারা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে এটি স্বীকার করেনি। অন্যদিকে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তিতে (NPT) সই করেছে, এবং জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষক সংস্থা জানিয়েছে, ইরানের কোনো সক্রিয় পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির প্রমাণ তারা পায়নি।
বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের অর্থনৈতিক প্রস্তাব বা গুজব—যদি সত্যিও হয়—তা ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের জটিল সমীকরণে নতুন মোড় আনতে পারে।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স, সিএনএন, এনবিসি নিউজ, Truth Social (ডোনাল্ড ট্রাম্পের পোস্ট)
Mily
