
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার গুণগত মান ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড হিসেবে বিবেচিত হয় কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা। সম্প্রতি প্রকাশিত কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিং ২০২৬-এ এই মানদণ্ডে এক যুগান্তকারী ফলাফল দেখা গেছে—যুক্তরাষ্ট্রের দুই বিখ্যাত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) ও হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি সমানভাবে শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে।
র্যাংকিংয়ে উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ই কর্মসংস্থান সূচকে ১০০ শতাংশ পূর্ণ নম্বর পেয়েছে। এতে প্রমাণিত হয়েছে, বিশ্বজুড়ে চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো এই দুটি প্রতিষ্ঠানের স্নাতকদের দক্ষতা ও যোগ্যতার প্রতি সমান আস্থা রাখে।
বিশ্লেষকদের মতে, এমআইটি তার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর কারিকুলাম, শিল্পখাত-সংশ্লিষ্ট গবেষণা, এবং ব্যবহারিক দক্ষতা তৈরিতে অনন্য। অন্যদিকে, হার্ভার্ড তার নেতৃত্বগুণ, আন্তঃবিষয়ক শিক্ষা পদ্ধতি এবং বিশ্বব্যাপী প্রভাবশালী অ্যালামনাই নেটওয়ার্কের জন্য বিখ্যাত।
এমআইটি ও হার্ভার্ড উভয়ই আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং গবেষণা বিনিময়ে উচ্চ মান ধরে রেখেছে। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন খাতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এ দুই প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য কী বার্তা?
বিশ্বমানের ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য এই দুই বিশ্ববিদ্যালয় এখনো আদর্শ। তবে এসব প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য প্রয়োজন উচ্চ একাডেমিক যোগ্যতা, সৃজনশীলতা ও বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি।
সানজানা