
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সংস্কার ও চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে দেশজুড়ে এনবিআরের সব ধরনের সেবা কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে এনবিআর সংস্কার ঐক্যপরিষদ। সংগঠনের ডাকা ‘শাটডাউন’ ও ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচির আওতায় এ আন্দোলন শনিবার সারাদেশে পালিত হয়।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শেষে বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারীরা জানান, ‘‘চেয়ারম্যানের পদত্যাগ ও যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে রোববারও কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’’ তারা আরও বলেন, ‘‘আমরা সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগ্রহী, তবে তার আগে এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে।’’
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, এনবিআর সংস্কার ঐক্যপরিষদের ব্যানারে সকাল থেকেই রাজধানীর আগারগাঁওয়ের রাজস্ব ভবনের সামনে জড়ো হন আন্দোলনকারীরা। কর্মসূচি ঘিরে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থলে মোতায়েন ছিল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
এদিকে এনবিআরের পক্ষ থেকে কর্মীদের অফিসে উপস্থিত না থাকলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল। তবে সে নির্দেশনা উপেক্ষা করেই আন্দোলনে অংশ নেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তাদের একমাত্র দাবি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ।
বিকেলে রাজস্ব ভবনের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর সংস্কার ঐক্যপরিষদের নেতারা ব্যবসায়ীদের পাশে থাকার আহ্বান জানান। তারা বলেন, ‘‘সরকারের সঙ্গে সমস্যার সমাধানে আলোচনায় বসতে আগ্রহী আমরা। তবে তার আগে বর্তমান নেতৃত্বে রদবদল আনতে হবে।’’
তারা আরও জানান, এনবিআর সংস্কার ঐক্যপরিষদ কর্তৃক ঘোষিত ২৮ জুন ২০২৫ থেকে ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে লাগাতার ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি চলবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২৯ জুন থেকে সারাদেশের সব দপ্তর থেকে শুরু হবে ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি। তবে এই কর্মসূচির আওতায় আন্তর্জাতিক যাত্রিসেবা চালু থাকবে বলে নিশ্চিত করা হয়।
চলমান এই কর্মসূচি রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের অচলাবস্থা সৃষ্টি করেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। আন্দোলন দ্রুত সমাধানে সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না, সেটিই এখন দেখার বিষয়।
এনবিআর সংস্কার নিয়ে কর্মকর্তাদের এই নজিরবিহীন কর্মবিরতি দেশের রাজস্ব ব্যবস্থা ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর কতটা প্রভাব ফেলবে, তা নির্ভর করছে সরকারের দ্রুত পদক্ষেপের ওপর। এখন চোখ সরকারের পরবর্তী সিদ্ধান্তের দিকে।
সূত্র:https://tinyurl.com/2727wbce
আফরোজা