
ভর্তি যুদ্ধে আশানুরূপ সাফল্য অর্জনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য ভর্তি হওয়া ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রায় ৫০০ নবীন কৃতি শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দিয়েছে নেটওয়ার্ক পরিবার।
শনিবার (২৮ জুন) সকাল ১১টায় নেটওয়ার্ক গাইড ও কোচিংয়ের আয়োজনে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) সৈয়দ নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. আহমেদ খায়রুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি শাখা ছাত্রদলের সদস্য-সচিব মো. শফিকুল ইসলাম। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন 'নেটওয়ার্ক এগ্রিপিডিয়া সিরিজ'-এর লেখক মুখলেসুর রহমান মুকিত, নেটওয়ার্ক ময়মনসিংহ শাখার প্রতিনিধি কামরুল ইসলাম এবং নেটওয়ার্ক গাইড ও কোচিংয়ের প্রধান উপদেষ্টা মো. হোসেন আলী। এছাড়াও নবীন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে নবীন শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে নানা অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন এবং তাদের এই পথ চলাতে নেটওয়ার্ক গাইড ও কোচিংয়ের অবদান তুলে ধরেন। আয়োজকদের পক্ষ থেকে তাদের জন্য সংবর্ধনা ও সাফল্যমুখী দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার পরিকল্পনা, উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ, সরকারি-বেসরকারি চাকরি, এবং কৃষিভিত্তিক উদ্যোক্তা হওয়া নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়।
এসময় নেটওয়ার্ক গাইড ও কোচিংয়ের প্রধান উপদেষ্টা মো. হোসেন আলী বলেন, 'বর্তমান কৃষিক্ষেত্র বহুমাত্রিক ও প্রযুক্তিনির্ভর। তাই কৃষি শিক্ষার্থীদের শুধু বইয়ের জ্ঞান নয়, ফিল্ড লার্নিং, ডেটা বিশ্লেষণ, এবং নিজস্ব প্রকল্প গড়ে তোলার দক্ষতাও অর্জন করতে হবে। তোমাদের প্রতিটি পদক্ষেপেই ভবিষ্যতের ক্যারিয়ার নির্ধারিত হবে। পড়াশোনার পাশাপাশি দক্ষতা অর্জন ও নেটওয়ার্কিং-এ মনোযোগী হতে হবে। চাকরি খোঁজার পাশাপাশি চাকরি তৈরি করার মনোভাব থাকতে হবে। কৃষি উদ্যোক্তা হতে হলে শুরু থেকেই সঠিক দিকনির্দেশনায় পথ চলা দরকার।'
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আহমেদ খায়রুল হাসান বলেন, 'কৃষির উন্নয়ন ছাড়া দেশের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। নবীনদের আধুনিক ও বিজ্ঞানভিত্তিক কৃষিশিক্ষায় এগিয়ে যেতে হবে। ভর্তি হওয়াটা কেবল শুরু, এখনই সময় নিজেকে গড়ার, ভালো কৃষিবিদ হওয়ার। শুধু বই পড়ে নয়, গবেষণা, প্রযুক্তি আর বাস্তব অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে শিক্ষার পরিধি বাড়াতে হবে।'
সজিব