
নিজেকে বদলাতে চান? চান আরও ফোকাসড, ইতিবাচক ও কর্মক্ষম হয়ে উঠতে? বেশিরভাগ মানুষই এমন পরিবর্তন চান, কিন্তু বাস্তবে তা ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। কারণ অনেক সময় শুরুটা হয় জোরেশোরে, কিন্তু কিছুদিন পরেই তা হারিয়ে যায় ক্লান্তির ভিড়ে।
তবে সুখবর হলো—জীবনে নাটকীয় পরিবর্তন আনতে কোনো বিশাল পদক্ষেপের দরকার নেই। বরং, ছোট ছোট অভ্যাসই আপনাকে নিয়ে যেতে পারে বড় এক রূপান্তরের পথে। যদি আপনি এই ৭টি সহজ অভ্যাস মেনে চলেন, তাহলে নিজেই বুঝতে পারবেন মানসিক ও শারীরিকভাবে আপনি কতটা উন্নত হচ্ছেন।
চলুন, জেনে নিই সেই ৭টি কার্যকর অভ্যাস—
১. ঘুমকে দিন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব
ব্যস্ত জীবনে আমরা অনেক সময় ঘুমকে উপেক্ষা করি। অথচ প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা মানসম্পন্ন ঘুম আমাদের স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ এবং মানসিক স্থিতিশীলতা বাড়ায়। নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়া, রাতে স্ক্রিন টাইম কমানো এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম—এই অভ্যাসগুলো দ্রুতই আপনার জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
২. সকাল হোক স্ক্রিনমুক্ত
দিনের শুরুতে মোবাইল চেক করা অনেকের অভ্যাস। কিন্তু এটি সারা দিনের মানসিক অস্থিরতার বীজ বপন করে। বরং দিনের প্রথম ১ ঘণ্টা মোবাইল ছাড়া থাকুন। স্ট্রেচিং, হালকা পড়া, বা নীরব কিছু সময় কাটানোর মধ্য দিয়ে শুরু করুন আপনার দিনটি।
৩. প্রতিদিন শরীরকে নড়াচড়া করান
প্রতিদিন কিছু সময় শরীরচর্চায় ব্যয় করুন। এর মানে জিমে ঘাম ঝরানো নয়—বরং হাঁটা, যোগব্যায়াম, সাঁতার বা হালকা ব্যায়ামও হতে পারে। ধারাবাহিকতা থাকলেই মুভমেন্ট আপনার স্ট্যামিনা বাড়াবে এবং মানসিক চাপ কমাবে।
৪. দিনে মাত্র ১০ পৃষ্ঠা পড়ুন
পড়ার অভ্যাস মনকে তীক্ষ্ণ করে তোলে এবং নতুন চিন্তার খোরাক জোগায়। দিনে মাত্র ১০ পৃষ্ঠা পড়লেই বদলে যেতে পারে আপনার চিন্তাভাবনা। আগ্রহের বই বেছে নিন এবং প্রতিদিনের পড়া অব্যাহত রাখুন।
৫. নতুন কিছু শেখার পেছনে দিন ১ ঘণ্টা
ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, নিজের জন্য প্রতিদিন ১ ঘণ্টা রাখুন শেখার জন্য। হতে পারে তা ডিজিটাল ডিজাইন, লেখালেখি, নতুন ভাষা বা কোনো শখ। এই অভ্যাস আপনার দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস দুটোই বাড়াবে।
৬. খাওয়াদাওয়ায় আনুন সরলতা ও ভারসাম্য
খাবার হওয়া উচিত সহজ ও পুষ্টিকর। ঘরে রান্না করা খাবার, প্রচুর সবজি, পর্যাপ্ত পানি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে দূরে থাকা—এই নিয়মগুলো আপনার শরীরকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করবে।
৭. দিন শেষ করুন ১০ মিনিট ধ্যানের মাধ্যমে
দিনের শেষে অন্তত ১০ মিনিট সময় নিন নিজেকে স্থির করার জন্য। চোখ বন্ধ করে ধ্যান, গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস বা নীরবতা চর্চা—যেকোনো একটিই করতে পারেন। এটি ঘুমের মান বাড়াবে এবং মনকে করবে শান্ত।
রিফাত