
ছবি: সংগৃহীত।
বিবিসি বাংলার অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে এসেছে—তরুণ রোহিঙ্গারা সীমান্ত পার হয়ে মিয়ানমারে সশস্ত্র প্রশিক্ষণ নিচ্ছে এবং ক্যাম্পে সদস্য সংগ্রহে মনোযোগ দিচ্ছে। তাদের লক্ষ্য—মিয়ানমারে ফিরে গিয়ে ‘স্বাধীন রাখাইন’ প্রতিষ্ঠা।
২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের মুখে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা। বর্তমানে এই সংখ্যা ১৩ লাখ ছাড়িয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে প্রত্যাবাসন না হওয়ায় তরুণদের মধ্যে জন্ম নিচ্ছে প্রতিরোধের মনোভাব।
কক্সবাজারের ৩৩টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এখন এক-তৃতীয়াংশই তরুণ। জানা গেছে, ক্যাম্পে চারটি সক্রিয় গোষ্ঠী—আরসা, আরএসও, ইসলামিক মাহাজ ও এয়ারে—সদস্য সংগ্রহ ও যুদ্ধের প্রস্তুতিতে জড়িত। সীমান্ত পার হয়ে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে অনেকে।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ (ICG) এর মতে, এসব গোষ্ঠী নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য ভুলে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। ধর্মীয় আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে তরুণদের ‘জিহাদে’ আহ্বান জানানো হচ্ছে।
তবে বাংলাদেশ সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ ধরনের তৎপরতা অস্বীকার করেছে। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশে কোনো সশস্ত্র গোষ্ঠীর অস্তিত্ব নেই। আরসা বা আরএসও’র কার্যক্রমের প্রতি সরকারের কোনো সমর্থন নেই।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই গোপন সশস্ত্র প্রস্তুতি আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি। রোহিঙ্গা সমস্যার মানবিক দিক ছাড়াও এখন এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্যও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
নুসরাত