
ছবিঃ সংগৃহীত
ইসরায়েলের সঙ্গে ১২ দিনের যুদ্ধে নিহত প্রায় ৬০ জন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানীর রাষ্ট্রীয় জানাজা শনিবার তেহরানে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ছিলেন বিপ্লবী গার্ডের প্রধান জেনারেল হোসেইন সালামি এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির প্রধান জেনারেল আমির আলি হাজিজাদেহ।
স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় শুরু হওয়া এই আয়োজনে ইরানি প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান, কুদস ফোর্সের প্রধান এসমাইল কায়ানি, আহত শীর্ষ উপদেষ্টা আলি শামখানি ও অন্যান্য সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। নিহতদের কফিন ইরানি পতাকায় মোড়ানো ছিল এবং আজাদি স্কয়ারে গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয়।
ইসরায়েলের যুদ্ধ ঘোষণা ও আক্রমণের প্রথম দিনেই নিহত হন সালামি ও হাজিজাদেহ। ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংস করতেই হামলা শুরু করে। যুক্তরাষ্ট্রও এ যুদ্ধে যোগ দিয়ে তিনটি ইরানি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়।
তেহরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধে ইরানে অন্তত ৬২৭ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। ইরানের হামলায় ইসরায়েলে নিহত ২৮ জন।
এদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক মন্তব্যকে ঘিরে কূটনৈতিক উত্তেজনা বেড়েছে। ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনেইকে “একটি বিশ্রী মৃত্যু” থেকে বাঁচিয়েছেন। ট্রাম্পের এই মন্তব্যকে “অসম্মানজনক ও অগ্রহণযোগ্য” বলে নিন্দা জানিয়েছেন ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি।
এ যুদ্ধের পর উভয় দেশই নিজেকে বিজয়ী দাবি করলেও ইরান খামেনেইর মুখে যুক্তরাষ্ট্রের হামলাকে “গুরুত্বহীন” বলে অভিহিত করেছেন।
অনুষ্ঠানে নিহত শিশু চারজনসহ প্রায় ৬০ জনকে দাফন করা হয়। অনেকের দাফন হয়েছে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে, যাঁরা একই হামলায় নিহত হন।
এই জানাজা ও রাষ্ট্রীয় শোক আয়োজনকে “ইসলামি ইরান ও বিপ্লবের জন্য এক ঐতিহাসিক দিন” বলে উল্লেখ করেন তেহরানের ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের প্রধান মোহসেন মাহমুদি।
একইসঙ্গে ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বাড়ছে, যেখানে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবারও সতর্ক করে বলেছেন, “বিশ্বের অন্যতম চরমপন্থী রাষ্ট্রকে পারমাণবিক অস্ত্র পাওয়া থেকে যেকোনো মূল্যে ঠেকাতে হবে।”
মুমু