ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২

একযুগ ধরে সংস্কার নেই সড়কের, নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত পৌরবাসী

মো. দেলোয়ার হোসেন, চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম

প্রকাশিত: ১৫:২৮, ২৯ জুন ২০২৫

একযুগ ধরে সংস্কার নেই সড়কের, নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত পৌরবাসী

চন্দনাইশ পৌরসভার পূর্ব জোয়ারা মসজিদ সড়কের কার্পেটিং উঠে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বৃষ্টির পানি গর্তে জমে সড়কটি ক্ষত-বিক্ষত হয়ে পড়েছে। মেরামতের কোন উদ্যোগ নেই। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শহীদ মুরিদুল আলম সড়কের পূর্ব জোয়ারা মোবারক আলী খলিফার বাড়ি থেকে সড়কটি শুরু হয়ে ঐতিহ্যবাহী ভরা পুকুর পাড় ধরে চুরামণি সড়কের তৈয়্যবিয়া মসজিদের সামনে সংযুক্ত হয়। প্রায় দেড় কিলোমিটার এ সড়কটি ২০১৩ সালে তৎকালীন মেয়র আইয়ুব কুতুবী সংস্কার করেছিলেন। এর পর থেকে পর পর দুইবার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন মাহাবুবুল আলম খোকা। তাঁর সাথে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর হেলাল উদ্দীন চৌধুরীর বিরোধ থাকার কারণে ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে বার বার। 

একইভাবে এ সড়কটি গত ৪/৫ বছর ধরে চলাচলের বিঘ্নতা সৃষ্টি হলেও কোন রকম সংস্কারের তালিকায় আসেনি। এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দারা একাধিকবার মেয়রের সাথে যোগাযোগ করেও কোন ধরণের প্রতিকার পাননি বলে অভিযোগ রয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলে সড়কে সৃষ্টি হওয়া গর্তের মধ্যে পানি জমে থাকে। সড়ক দিয়ে কোন রকম যানবাহন চলাচল করলে পথচারীদের পরনের কাপড় ময়লা পানিতে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে কার্পেটিং নষ্ট হয়ে সড়কটি দিনদিন ক্ষত-বিক্ষত হয়ে পড়ছে। এ সড়ক দিয়ে পূর্ব জোয়ারা গ্রামের মোবারক আলী খলিফা বাড়ি, ভরা পুকুরের পূর্ব পশ্চিম পাড়, শফিউর রহমানের বাড়ি, টুনির বাপের বাড়ি, পেশকার বাড়ি, লাল মিয়া দফাদার বাড়ি, ছগির সওদাগর বাড়ির সহশ্রাধিক পরিবারের লোকজন চলাচল করে থাকে। তাছাড়া এ সড়ক দিয়ে বিশাল জনগোষ্ঠির শিক্ষার্থী, রোগী, বয়স্ক লোকজন চলাচল করে। কিন্তু স্থানীয় মেয়রের উদাসীনতার কারণে সড়কটি দীর্ঘ ১২ বছর ধরে সংস্কারের ছোয়া লাগেনি। 

এ সকল এলাকার জন সাধারণের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই। এ সড়কে যাতায়তকারী এলাকাবাসী প্রতিনিয়ত পৌরকর নিয়মিত পরিশোধ করেও নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। এ ব্যাপারে তারা স্থানীয় সরকার, পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন। গত ২ বছরে এডিবি’র ২ কোটি টাকার কোন প্রকল্প না দেয়ার কারণে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। স্থানীয় বাসিন্দারা নতুনভাবে প্রকল্প হাতে নিলে এ সড়কটির আওতায় আনার দাবী জানিয়েছেন পৌর প্রশাসকের নিকট। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক মো. রাজিব হোসেন বলেছেন, বাজেট অধিবেশনের পরে ওয়ার্ড ভিত্তিক সমন্বয় করে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে এডিবি’র ২ কোটি টাকা প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করবেন বলে জানান।

মুমু

×