
কুড়িগ্রামের চিলমারীর দুর্গম চরাঞ্চলে অপরাধ দমনে আকাশে ড্রোন উড়িয়ে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে নজরদারি করছে জেলা পুলিশ। ঝুঁকিপূর্ণ রুটে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), নৌপুলিশ, থানা পুলিশ টহল জোরদার করেছেন।
পুলিশ জানায়, চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর রুটে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এর প্রেক্ষিতে এই দুই রুটে হাটের দিন সহ অন্যান্য দিনেও পুলিশ বিশেষ নজরদারি করছেন। পুলিশের টহলের পাশাপাশি ড্রোন উড়িয়ে এ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বিশেষভাবে নজরদারি করা হচ্ছে এবং এটি চলমান থাকবে। চিলমারীর জোড়গাছে সপ্তাহে রবিবার ও বুধবার বড় হাট বসে। এদিন চিলমারীর চর এলাকাগুলো ব্যতীতও আশেপাশে উপজেলার থেকে নৌরুটে বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা আসেন হাট করতে। এর আগে পরপর ডাকাতির ঘটনার পর পুলিশ সুপারের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ কাজ করে যাচ্ছেন ফলে ডাকাতির প্রবণতা অনেকাংশে কমে গেছে।
সরেজমিনে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট জোড়গাছ হাট, রমনা ঘাট, কাঁচকোল, ফকিরের হাট, চিলমারী ইউনিয়নের চরগুলোসহ বিভিন্ন স্থানে ড্রোন উড়িয়ে পুলিশের বিশেষ নজরদারি দেখা গেছে। এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান জানান, চিলমারী নদীবন্দর ও নৌরুটে অপরাধ প্রতিরোধের জন্য সার্বক্ষণিক ড্রোন মনিটরিং চলছে। অতিরিক্ত পুলিশি তৎপরতায় নৌ ডাকাতি দীর্ঘদিন থেকে বন্ধ রয়েছে। যেকোনো অপরাধ নির্মূলে কাজ করছে জেলা পুলিশ।
আফরোজা