
গাজার একটি হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছে চরম অপুষ্টিতে ভোগা এক শিশু
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলের চলমান অবরোধ ও হামলার মধ্যে অপুষ্টিতে অন্তত ৬৬ শিশু মারা গেছে। রবিবার গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এ তথ্য জানিয়েছে। গাজার প্রশাসনের অভিযোগ দুধ, পুষ্টিকর খাদ্য এবং অন্যান্য মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা দেওয়াতেই এই সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে গাজায় দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন চার শতাধিক। খবর আলজাজিরার।
এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ২০ মাস ধরে চলা বর্বরতা বন্ধে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রবিবার সকালে সামাজিকমাধ্যম ট্রুথে একটি পোস্ট করেন ট্রাম্প। এতে তিনি লিখেছেন, গাজায় চুক্তি করুন। জিম্মিদের ফিরিয়ে আনুন। ধারণা করা হচ্ছে, এই পোস্টের মাধ্যমে দখলদার ইসরাইলকে বার্তা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বুঝিয়েছেন, গাজায় যুদ্ধ বন্ধের জন্য তিনি এখন চুক্তি চান।
যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কারণে মূলত এখন চুক্তি হচ্ছে না। এক বিবৃতিতে গাজার মিডিয়া প্রশাসন জানিয়েছে, ইসরাইলের এই অবরোধ একটি যুদ্ধাপরাধ। বেসামরিক লোকদের নির্মূল করার জন্য পরিকল্পিতভাবে খাদ্যকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের জন্যই এমন ঘটনা ঘটছে। এদিকে গাজার তুফাহ, দেইর আল বালাহ, রাফাহ, খান ইউনিসসহ বেশ কয়েকটি এলাকাতেই চলছে ইসরাইলি বিমান হামলা। রবিবার এসব এলাকায় নিহত হয়েছেন ৬০ জন, তাদের বেশিরভাগই শিশু ও নারী।
আলজাজিরা বলছে, রবিবার ভোরে গাজা সিটির আল তুফাহ এলাকায় ইসরাইলের ভয়াবহ বিমান হামলায় কেঁপে ওঠে চারপাশ। বিস্ফোরণের সময় গাজাবাসী আশ্রয় নিচ্ছিল জাফা স্কুলের পাশে একটি বহুতল ভবনে। ভবনটির তিনটি তলা একসঙ্গে ধসে পড়ে। এ ঘটনায় শিশুসহ বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন।