ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২

ট্রাম্পের বিলকে ‘রাজনৈতিক আত্মহত্যা’ বললেন এলন মাস্ক

প্রকাশিত: ০০:৫৬, ৩০ জুন ২০২৫

ট্রাম্পের বিলকে ‘রাজনৈতিক আত্মহত্যা’ বললেন এলন মাস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন বিলকে ‘রাজনৈতিক আত্মহত্যা’ বলে কড়া সমালোচনা করেছেন টেসলা ও এক্স মালিক এলন মাস্ক। শনিবার (২৯ জুন) নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ একাধিক পোস্টে মাস্ক এ বিলের বিরুদ্ধে তীব্র অবস্থান জানান।

এক পোস্টে মাস্ক লেখেন, “জরিপগুলো বলছে এই বিল রিপাবলিকান দলের জন্য রাজনৈতিক আত্মহত্যার শামিল।” আরেকটি পোস্টে বিলটিকে তিনি আখ্যা দেন ‘পুরোপুরি পাগলামী ও ধ্বংসাত্মক’ হিসেবে।

মাস্ক আরও বলেন, “সিনেটের সর্বশেষ খসড়া বিলটি যুক্তরাষ্ট্রে লক্ষ লক্ষ চাকরি ধ্বংস করবে এবং আমাদের কৌশলগত ক্ষতি হবে অপূরণীয়। এটা অতীতের শিল্পগুলোকে প্রণোদনা দেয়, অথচ ভবিষ্যতের শিল্পগুলোকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।”

এটি প্রথমবার নয়, এর আগেও মাস্ক এই বিলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন। চলতি জুনের শুরুতে তিনি একে বলেছিলেন “ঘৃণ্য বিকৃতি” এবং “অত্যন্ত লজ্জাজনক বিল”।

সে সময় মাস্ক লিখেছিলেন, “দুঃখিত, কিন্তু আর সহ্য করা যাচ্ছে না। এই বিশাল, অপ্রয়োজনীয়, সুবিধাভোগী গোষ্ঠীর সুবিধার্থে তৈরি কংগ্রেসের ব্যয়বহুল বিলটি একটি ঘৃণিত বিকৃতি।”

তিনি আরও যোগ করেন, “যাঁরা এই বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন, লজ্জিত হওয়া উচিত। আপনারা জানেন, আপনারা ভুল করেছেন। আপনারাও জানেন সেটা।”

শনিবার মার্কিন সিনেটে এক হাজার পৃষ্ঠার একটি বিল ট্রাম্পের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সামান্য ব্যবধানে অগ্রসর হয়। তবে রিপাবলিকান দলের দুই সিনেটর—র‌্যান্ড পল (কেন্টাকি) এবং থম টিলিস (নর্থ ক্যারোলাইনা)—বিলটির বিপক্ষে ভোট দেন।

র‌্যান্ড পল ৫ ট্রিলিয়ন ডলার পর্যন্ত ঋণসীমা বৃদ্ধির প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন। অন্যদিকে থম টিলিস দাবি করেন, এই বিল বাস্তবায়িত হলে নর্থ ক্যারোলাইনা রাজ্যকে ফেডারেল মেডিকেইড তহবিল থেকে ৩৮.৯ বিলিয়ন ডলার হারাতে হবে।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ট্রাম্প প্রশাসন ত্যাগ করার পর মাস্ক ও ট্রাম্পের মধ্যে রাজনৈতিক বিরোধ আরও ঘনীভূত হয়। মাস্ক এক পর্যায়ে ট্রাম্পের অভিশংসনের দাবি তোলেন এবং দাবি করেন, ট্রাম্পের নাম শিশু যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইনের সংশ্লিষ্ট নথিতে রয়েছে।

মার্কিন রাজনীতিতে ট্রাম্পের বিল ঘিরে বিতর্ক এখন তুঙ্গে। এলন মাস্কের মতো প্রভাবশালী টেক উদ্যোক্তার তীব্র সমালোচনার ফলে বিলটির রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়ে জনমনে প্রশ্ন বাড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে, রিপাবলিকান দল আগামী নির্বাচনে কতটা চাপে পড়ে, সেটি দেখার বিষয়।

 

সূত্র:The Hill

আফরোজা

×