ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে রাতের এই ৫টি অভ্যাস মেনে চলুন

প্রকাশিত: ০৪:০৪, ৩০ জুন ২০২৫

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে রাতের এই ৫টি অভ্যাস মেনে চলুন

ছবি: সংগৃহীত।

গ্যাস্ট্রিক বা অম্বল বাংলাদেশের মানুষের একটি বহুল প্রচলিত সমস্যা। বিশেষত রাতের খাবারের পর অনিয়ম বা ভুল অভ্যাসের কারণে এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপন মেনে চললে সহজেই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

পুষ্টিবিদ ও গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্টদের মতে, রাতে কিছু সহজ নিয়ম পালন করলেই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। নিচে তুলে ধরা হলো এমন পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস:

১. রাতে দেরিতে খাওয়া এড়িয়ে চলুন:
রাতে দেরি করে খেলে খাবার ঠিকমতো হজম হয় না, ফলে পাকস্থলীতে অম্লের মাত্রা বেড়ে গ্যাস্ট্রিক সৃষ্টি হয়। তাই রাতের খাবার ideally ঘুমানোর অন্তত ২-৩ ঘণ্টা আগে সেরে নেওয়া উচিত।

২. হালকা ও সহজপাচ্য খাবার বেছে নিন:
রাতের বেলা ভাজাপোড়া, চর্বিযুক্ত ও অতিরিক্ত মশলাযুক্ত খাবার পরিহার করা জরুরি। এর পরিবর্তে ভাত, সেদ্ধ সবজি, ডাল বা গ্রিল করা মুরগির মাংস বেছে নেওয়া ভালো।

৩. খাওয়ার পরে হালকা হাঁটাহাঁটি করুন:
রাতের খাবার শেষে টিভির সামনে বসে থাকা বা সঙ্গে সঙ্গেই শুয়ে পড়া হজমে বাধা সৃষ্টি করে। তাই খাওয়ার পর অন্তত ১০–১৫ মিনিট হালকা হাঁটাহাঁটি করলে হজম শক্তি বাড়ে এবং গ্যাস্ট্রিকের সম্ভাবনা কমে।

৪. ধূমপান ও কফি এড়িয়ে চলুন:
রাতের খাবারের পরে ধূমপান বা ক্যাফেইনজাতীয় পানীয় (যেমন কফি) গ্রহণ গ্যাস্ট্রিকের মাত্রা অনেকটাই বাড়িয়ে দিতে পারে। এগুলো পাকস্থলীর অম্ল উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়, যা অম্বলের অন্যতম কারণ।

৫. উঁচু বালিশে শোওয়া অভ্যাস গড়ে তুলুন:
অনেক সময় শুয়ে পড়লে পাকস্থলীর অ্যাসিড খাদ্যনালীর দিকে উঠে আসে, যাকে বলা হয় অ্যাসিড রিফ্লাক্স। এ সমস্যা এড়াতে মাথা ও কাঁধ কিছুটা উঁচু অবস্থানে রেখে ঘুমানো উত্তম।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অভ্যাসগুলো মেনে চললে ধীরে ধীরে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আসে এবং ঘুমের মানও উন্নত হয়। তবে সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

মিরাজ খান

×