
ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ধর্মীয় ফতোয়া জারি করেছেন ইরানের শীর্ষ শিয়া আলেম আয়াতুল্লাহ নাসের মাকারেম শিরাজি। ফতোয়ায় তাদের ‘আল্লাহর শত্রু’ আখ্যা দিয়ে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।
ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা মেহর নিউজের খবরে বলা হয়েছে, ফতোয়ায় বলা হয়, “যেকোনো ব্যক্তি বা শাসক যিনি ইসলামী প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ নেতার (বা মারজার) প্রতি হুমকি প্রদান করেন, তাকে ‘মোহারেব’ বা ‘যুদ্ধবাজ’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে।”
উল্লেখ্য, ইসলামী আইনে ‘মোহারেব’ শব্দটি এমন ব্যক্তির জন্য ব্যবহৃত হয়, যে আল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। ইরানে এই অপরাধের শাস্তি অত্যন্ত কঠোর—শিরচ্ছেদ, হাত-পা কেটে ফেলা, শূলে চড়ানো বা নির্বাসন পর্যন্ত হতে পারে।
ফতোয়ায় আরও বলা হয়েছে, ‘এই শত্রুদের প্রতি কোনো মুসলমান বা ইসলামী রাষ্ট্রের সহযোগিতা কিংবা সমর্থন দেওয়া হারাম। সারা বিশ্বের মুসলমানদের দায়িত্ব হলো—এই শত্রুদের তাদের বক্তব্য ও কর্মের জন্য অনুতপ্ত করা।’
উল্লেখ্য, ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের কয়েকটি সামরিক ও পারমাণবিক গবেষণাগারে বিমান হামলা চালায়, যাতে দেশটির কয়েকজন শীর্ষ জেনারেল ও বিজ্ঞানী নিহত হন। এর প্রতিক্রিয়ায় তেহরান ইসরায়েলের শহরগুলোর ওপর ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে।
যুদ্ধ আরও বিস্তৃত আকার ধারণ করে যখন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে একজোট হয়ে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। এর জবাবে ইরান কাতারে অবস্থিত একটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।
ফতোয়ায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘যদি কোনো মুসলমান, ইসলামী কর্তব্য পালনের পথে ক্ষতি বা কষ্টের সম্মুখীন হন, তবে তারা আল্লাহর রাস্তায় মুজাহিদের মর্যাদা লাভ করবেন, ইনশাআল্লাহ।’
ফতোয়া জারি করে সহিংসতার ডাক দেওয়া ইরানি আলেমদের জন্য নতুন কিছু নয়। ১৯৮৯ সালে বিশ্বজুড়ে তুমুল বিতর্কের জন্ম দেয়া লেখক সালমান রুশদির বিরুদ্ধে জারি করা একটি ফতোয়া এখনও আলোচিত। তার লেখা The Satanic Verses উপন্যাসকে ইসলামবিদ্বেষী আখ্যা দেওয়া হয়েছিল সেই ফতোয়ায়।
সূত্র: এনডিটিভি।
রাকিব