
ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বজুড়ে বাড়তে থাকা তাপপ্রবাহ শুধু অস্বস্তি বা প্রাণহানিই ঘটাচ্ছে না, বিজ্ঞানীরা বলছেন চরম গরমের প্রভাব আমাদের শরীরের কোষেও নীরবে বার্ধক্যের গতি বাড়িয়ে দিচ্ছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চ তাপমাত্রার সংস্পর্শে থাকলে শরীরের কোষে থাকা ডিএনএ ও প্রোটিনের ক্ষতি হয়, যা কোষের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা ব্যাহত করে এবং বার্ধক্যের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। তাপের কারণে কোষে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়ে, যা কোষের ক্ষয় ও মৃত্যুর কারণ হতে পারে। এতে শুধু ত্বকেই বলিরেখা বা রিঙ্কেল পড়া নয়, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও কিডনির সমস্যার ঝুঁকিও বাড়ে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিরিক্ত গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে বেশি করে পানি পান, ঢিলেঢালা-হালকা রঙের পোশাক পরা এবং দুপুরের রোদ এড়িয়ে চলাই উত্তম। বয়স্ক ও শিশুদের ক্ষেত্রে আরও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, কারণ তাদের শরীর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে তুলনামূলকভাবে দুর্বল।
চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা সতর্ক করছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে চরম গরম আরও বাড়বে, তাই এখন থেকেই এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতন হওয়া ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
আঁখি