
ছবি: সংগৃহীত
জাপানের উপনিবেশ প্রায় এক শতাব্দী আগে আইনু ভাষাকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিল, কিন্তু এখন এআই প্রযুক্তি এর পুনরুজ্জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ১৮৭০-এর দশকে প্রায় ১৫,০০০ মানুষ এই ভাষায় কথা বলতো, কিন্তু বর্তমানে আইনু একটি গুরুতর বিপন্ন ভাষা, যার হাতে গোনা কয়েকজন স্থানীয় বক্তা অবশিষ্ট আছেন।
২০১৯ সালে জাপান সরকার আইনু জনগোষ্ঠীকে আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও, এমনকি হোক্কাইডো যেখানে অনেক আইনু বংশধর বাস করেন, সেখানকার স্কুল পাঠ্যক্রমেও এই ভাষা অনুপস্থিত। ভাষার অনেকটা অংশ হারিয়ে গেছে এবং সীমিত কিছু রেকর্ডিং অবশিষ্ট থাকায়, কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা আইনু ভাষা সংরক্ষণ ও শেখানোর জন্য এআই স্পিচ রিকগনিশন এবং সিন্থেসিস ব্যবহার করছেন।
তাদের প্রকল্পে শত শত ঘণ্টার পুরোনো ক্যাসেট রেকর্ডিংয়ে থাকা আইনু মৌখিক গল্পগুলোকে ডিজিটাইজ করা হয়েছে এবং "এন্ড-টু-এন্ড" এআই মডেল ব্যবহার করে আইনু বক্তৃতা প্রতিলিপি ও তৈরি করা হয়েছে। এআই-এর নির্ভুলতা স্নাতক শিক্ষার্থীদের মতোই, যা শিক্ষাগত ও সাংস্কৃতিক উদ্দেশ্যে স্বাভাবিক-শুনতে আইনু ভাষা তৈরিতে সাহায্য করছে।
যদিও সম্প্রদায়ের কেউ কেউ এআই-এর ভুল উচ্চারণ বা অপব্যবহার নিয়ে সতর্ক রয়েছেন, তবে এর সমর্থকরা এটিকে তরুণ প্রজন্মকে তাদের ঐতিহ্যের সাথে যুক্ত করার একটি মূল্যবান হাতিয়ার হিসেবে দেখছেন। স্থানীয় ভাষা শিক্ষক এবং কর্মীরা জোর দিয়ে বলছেন যে এআই জীবিত জ্ঞান এবং সম্প্রদায়ের জড়িত থাকার পরিপূরক হওয়া উচিত, প্রতিস্থাপন নয়।
এই প্রকল্পটি সাংস্কৃতিক সংবেদনশীলতা এবং ডেটার মালিকানার চ্যালেঞ্জেরও মুখোমুখি, কারণ অতীতে আইনু সংস্কৃতির শোষণ করা হয়েছিল। বিশেষজ্ঞরা প্রযুক্তির নৈতিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে আইনু সম্প্রদায়ের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করার গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন।
বাধা সত্ত্বেও, এআই-এর ব্যবহার আইনু ভাষায় নতুন প্রাণ সঞ্চার করছে, যা এই প্রাচীন ভাষাটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সাথে টিকে থাকবে এবং বিকশিত হবে এমন আশা জাগিয়ে তুলছে।
আবির