ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২

প্লাস্টিক দূষণ রোধ ও প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় তরুণ ও যুবদের ৭ দফা ঘোষণা

প্রকাশিত: ১৬:১৮, ৩০ জুন ২০২৫; আপডেট: ১৬:১৯, ৩০ জুন ২০২৫

প্লাস্টিক দূষণ রোধ ও প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় তরুণ ও যুবদের ৭ দফা ঘোষণা

পলিথিন ও প্লাস্টিকজনিত পরিবেশ দূষণ রোধে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক ব্যবহার না করা এবং প্লাস্টিক বোতলের পানি না কেনাসহ ৭টি প্রতিশ্রতির একটি ঘোষণাপত্র উপস্থাপন করেছেন দেশের তরুণ ও যুবরা।

বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ আয়োজনে রাজধানীর পরিবেশ অধিদপ্তরে আয়োজিত “যুব নেতৃত্বে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা” শীর্ষক সেমিনারে এই ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়।

তাদের ঘোষণাপত্রে আরও রয়েছে:

  • জনগণের মধ্যে প্লাস্টিক ব্যবহারে সচেতনতা বৃদ্ধি

  • রিসাইক্লিং ও পুনর্ব্যবহার উৎসাহিত করা

  • কমিউনিটিকে সঙ্গে নিয়ে নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা

  • ক্ষতিকর প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার রোধে সচেতনতামূলক ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি ও প্রচার

  • স্থানীয় সরকার ও প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বিতভাবে প্লাস্টিক দূষণ রোধে কাজ করা

এই সেমিনারের মূল উদ্দেশ্য ছিল প্লাস্টিকের ভয়াবহতা সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানো এবং একটি পরিচ্ছন্ন ও সবুজ বাংলাদেশ গঠনে তরুণ সমাজকে সম্পৃক্ত করা।

সারা বাংলাদেশে ওয়ার্ল্ড ভিশনের সঙ্গে যুক্ত দেড় লক্ষাধিক শিশু ও যুব প্রতিনিধির মধ্যে ২০০ জন এই সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্য থেকে ৭ জন প্রতিনিধি নিজেদের মতামত ও প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন। বক্তব্যে উঠে আসে— প্লাস্টিক দূষণ মোকাবেলায় এবং একটি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নির্মাণে সম্মিলিত প্রচেষ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সেমিনারে অন্যান্য বক্তারা এসব যুব উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং তা আরও জোরদারভাবে বাস্তবায়নের তাগিদ দেন। একই সঙ্গে সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বিত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেওয়া হয়।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ও ইনস্টিটিউট অফ অ্যাপ্রোপ্রিয়েট টেকনোলজির পরিচালক ড. মো. ইয়াসির আরাফাত খান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ড. মোঃ সোহরাব আলী।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ড. মোঃ সোহরাব আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফারিয়া নিশাত, উপপরিচালক (বাস্তবায়ন), যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, প্রফেসর মহিদুস সামাদ খান, পরিচালক, ইনস্টিটিউট অফ অ্যাপ্রোপ্রিয়েট টেকনোলজি এবং অধ্যাপক, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, বুয়েট ও নিতাই চন্দ্র দে সরকার, পরিচালক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর। সেমিনারে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের পরিচালক, হিউম্যানিটেরিয়ান এমারজেন্সি অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যাডাপটেশন, দোলন গমেজ স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের সিনিয়র ডিরেক্টর, চন্দন জেড গমেজ।

সানজানা

×