
ছবি: সংগৃহীত
স্মার্টফোন চুরি হয়ে গেলে শুধু আর্থিক ক্ষতিই নয়, বড় ধরনের ঝুঁকিতে পড়ে যায় ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্যও। ছবি, বার্তা, ব্যাংক অ্যাপ বা অফিসিয়াল ডকুমেন্ট—সবই চলে যেতে পারে অপরাধীদের হাতে। তবে এবার সেই দুশ্চিন্তা কমাতে গুগলের আছে নতুন এক প্রযুক্তি।
অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে ‘থেফট প্রোটেকশন লক’ নামে এ ফিচার ফোন চুরি হলেও ব্যবহারকারীর তথ্য সুরক্ষিত রাখবে।
সম্প্রতি জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘রেডিট-এ অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত মিশাল রহমান জানান, থেফট সুরক্ষা ব্যবস্থায় গুগলের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ফিচার চালু আছে—থেফট ডিটেকশন লক, অফলাইন ডিভাইস লক এবং রিমোট লক।
কীভাবে কাজ করে সুবিধাগুলো?
থেফট ডিটেকশন লক:
এই ফিচারটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) মাধ্যমে কাজ করে। যদি ফোনের ব্যবহার বা নড়াচড়ায় সন্দেহজনক কিছু শনাক্ত করে, তবে ফোনটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে লক হয়ে যাবে। ফলে চোরের হাতে গেলেও ফোনের তথ্যের নাগাল পাবে না কেউ।
অফলাইন ডিভাইস লক:
যদি কোনো ফোন দীর্ঘ সময় ইন্টারনেট সংযোগহীন থাকে, তাহলে সেটিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে লক হয়ে যাবে। এর ফলে চুরি হওয়া ফোনে ইন্টারনেট না থাকলেও তথ্য থাকবে নিরাপদ।
রিমোট লক:
এই সুবিধার মাধ্যমে ব্যবহারকারী যেকোনো স্থান থেকে নির্দিষ্ট নম্বর দিয়ে নিজের ফোনটি রিমোটলি লক করতে পারবেন।
কোন ফোনে পাওয়া যাবে এই সুবিধা?
গুগল জানিয়েছে, অ্যান্ড্রয়েড ১০ বা তার পরবর্তী সংস্করণের ফোনগুলোতে এই ফিচার ব্যবহারযোগ্য হবে। তবে অনেক ব্যবহারকারী এখনও এ সুবিধা পাননি বলে জানিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, পর্যায়ক্রমে সব ব্যবহারকারীদের জন্য এই সুবিধাগুলো চালু করা হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের তথ্য সুরক্ষায় এই প্রযুক্তি হতে পারে এক বড় মাইলফলক।
আপনার ফোনের অপারেটিং সিস্টেম হালনাগাদ আছে কি না, তা যাচাই করুন। পাশাপাশি ফোন চুরি হলে দ্রুত ‘Find My Device’ ফিচার চালু করে রিমোট লক সক্রিয় করুন।
সূত্র: https://www.theverge.com/2024/10/5/24262810/google-theft-detection-lock-rolling-out-android
রাকিব