
ছবি: সংগৃহীত
পাবনার বেড়া উপজেলার কয়েক কিলোমিটার এলাকায় নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রতিবছর বর্ষার শুরুতেই নদীভাঙন হয়। নদীপাড়ের কয়েক হাজার মানুষের দিন কাটছে চরম আতঙ্কে। অনেকে ব্যস্ত রয়েছেন ঘরবাড়ি ভেঙে অন্য জায়গায় চলে যাওয়ায়।
ইতিমধ্যে এ বছর গত এক মাস ধরে ভাঙন অব্যাহত থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা। এ পর্যন্ত নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে প্রায় ২০টি বাড়িঘর। বাড়িঘর হারিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন অনেক পরিবার। হুমকির মুখে রয়েছে শতাধিক বাড়িঘর, কৃষিজমি, কবরস্থান, মাদ্রাসা, মসজিদসহ একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
১৯ নম্বর চরসাঁড়াশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ভাঙন আতঙ্কে নিলামে তুলে বিক্রি করা হয়েছে। ভাঙন রোধে কাজ না করে গ্রামের একমাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নিলামে বিক্রি করায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়নের নেওলাইপাড়া, নতুন বাটিয়াখড়া, পায়না, রাকসা, গণপতদিয়া, মধুপুর ও মরিচাপাড়া এবং পুরান ভারেঙ্গা ইউনিয়নের চর বক্তারপুর, কল্যাণপুর—এই নয়টি গ্রামের প্রায় দুই হাজার পরিবার রয়েছে ভাঙনের ঝুঁকিতে। গেল দুই বছরে বসতভিটা হারিয়েছেন প্রায় ৫০০ পরিবার, নদীতে বিলীন হয়েছে প্রায় এক হাজার বিঘা ফসলি জমি।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, অপরিকল্পিতভাবে যমুনা নদীর তলদেশ থেকে বাল্কহেড দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণেই বর্ষার শুরুতেই তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে।
আবার ভাঙন ঠেকাতে ফেলা হচ্ছে বালুর বস্তা। ভয়াবহ এই ভাঙনের জন্য অবৈধ বালু উত্তোলনকেই দুষছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ভাঙনে বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও, থেমে নেই বালু উত্তোলন। দ্রুত বালু উত্তোলন বন্ধ এবং ভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন অনেকে।
মুমু ২