
ছবি: সংগৃহীত
প্রাকৃতিক উপায়ে চুল পড়া রোধ ও চুল গজানোর জন্য আজকাল রোজমেরি একটি জনপ্রিয় উপাদান হয়ে উঠেছে। তবে অনেকেই দ্বিধায় থাকেন—রোজমেরি ওয়াটার ভালো, না রোজমেরি অয়েল? এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হলো দুই পদ্ধতির কার্যকারিতা, প্রস্তুতির উপায়, এবং কার জন্য কোনটা বেশি উপযোগী।
রোজমেরি ওয়াটার কী?
রোজমেরি ওয়াটার হলো এক ধরনের হালকা ভেষজ টনিক যা তৈরি হয় রোজমেরি পাতা ফুটন্ত পানিতে সিদ্ধ করে। এটি হালকা ও সতেজকর, বিশেষ করে যাদের চুল পাতলা বা ত্বক সংবেদনশীল তাদের জন্য এটি উপযোগী। এটি স্ক্যাল্পে ছিটিয়ে দিতে পারেন স্প্রে বোতলে ভরে।
সুবিধা:
-
হালকা ও নন-গ্রিসি
-
দ্রুত তৈরি হয়
-
স্ক্যাল্প সতেজ রাখে
-
সহজে চুলে ব্যবহারযোগ্য
অসুবিধা:
-
অল্প কার্যকারিতা
-
এক সপ্তাহের বেশি সংরক্ষণ করা যায় না
-
হাইড্রেশন কম দেয়
রোজমেরি অয়েল কী?
রোজমেরি অয়েল তৈরি হয় রোজমেরি পাতা অলিভ বা নারকেল তেলে কয়েক সপ্তাহ ভিজিয়ে রেখে। এটি চুলের গোড়া মজবুত করে, স্ক্যাল্পে রক্তসঞ্চালন বাড়ায় এবং গভীরভাবে পুষ্টি দেয়।
সুবিধা:
-
চুল পড়া কমায় ও নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে
-
ড্রাই স্ক্যাল্পে পুষ্টি জোগায়
-
স্ক্যাল্প ম্যাসাজের জন্য আদর্শ
-
ড্যানড্রাফ কমাতে সহায়ক
অসুবিধা:
-
তৈলাক্ততা বেশি, পাতলা চুলে ভার দিতে পারে
-
প্রস্তুতি সময়সাপেক্ষ
-
কিছু স্ক্যাল্পে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করতে পারে
আপনি কোনটি বেছে নেবেন?
চুলের ধরন:
-
পাতলা বা তৈলাক্ত চুল: রোজমেরি ওয়াটার
-
শুষ্ক, ঘন বা কোঁকড়ানো চুল: রোজমেরি অয়েল
স্ক্যাল্পের অবস্থা:
-
সংবেদনশীল স্ক্যাল্প: রোজমেরি ওয়াটার
-
শুষ্ক বা খুশকিযুক্ত স্ক্যাল্প: রোজমেরি অয়েল
সময় ও ধৈর্য:
-
সময় কম? রোজমেরি ওয়াটার
-
ধৈর্য ও গভীর পুষ্টি চান? রোজমেরি অয়েল
মিশ্র ব্যবহার:
চুল ধোয়ার আগের রাতে রোজমেরি অয়েল দিয়ে ম্যাসাজ করুন, ধোয়ার পর রোজমেরি ওয়াটার স্প্রে করে চুল শুকিয়ে নিন। এতে করে চুল পাবে পুষ্টি ও উজ্জ্বলতা—দুটোই।
মুমু ২