
ডাল আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকার একটি পরিচিত ও পুষ্টিকর উপাদান। নিরামিষ কিংবা আমিষ- দুই ধরনের খাদ্যাভ্যাস অনুসারী মানুষই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ডাল রাখেন।এতে প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ থাকে, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
পুষ্টিগুণে ভরপুর এই খাদ্য উপাদানটি শুধুই রুচিকর নয়, বরং আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। প্রতিদিন পরিমাণ মতো ডাল খাওয়ার মাধ্যমে যেসব উপকার পাওয়া যায়:
প্রোটিনের ঘাটতি পূরণে সহায়ক
ডাল প্রাকৃতিকভাবে উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ। এটি খেলে পেশি মজবুত হয়, শরীরের কোষ ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গের গঠন উন্নত হয়। যারা মাছ, মাংস কম খান বা একদমই খান না, তাঁদের শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণে ডাল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।
হজমে সহায়ক
ডালের ফাইবার উপাদান হজমের জন্য বিশেষ উপকারী। এটি অন্ত্রের গতি স্বাভাবিক রাখে, কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। নিয়মিত ডাল খেলে খাবার সহজে হজম হয় ও পেট থাকে পরিষ্কার।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে
ডালের ফাইবার ও প্রোটিন একসঙ্গে পেট ভরিয়ে দেয়, ফলে অকারণে খিদে পায় না। এটি অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণে বাধা দেয়, যার ফলে ওজন কমাতে সহায়ক। ডায়েট করার সময় ডাল খুবই কার্যকরী এক উপাদান।
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা
ডালে থাকে আয়রন ও ভিটামিন বি, যা হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সহায়তা করে। এটি রক্তাল্পতা (অ্যানিমিয়া) প্রতিরোধে সাহায্য করে। বিশেষ করে গর্ভবতী নারীদের জন্য ডাল খাওয়া অত্যন্ত জরুরি, কারণ এটি ভ্রূণের সঠিক বিকাশে সাহায্য করে।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
ডালে থাকা পটাসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ডাল খাওয়ার অভ্যাস খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।
সানজানা