ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২

মানসিক অসুস্থতার ১০টি লক্ষণ

প্রকাশিত: ০৬:১৩, ৩০ জুন ২০২৫

মানসিক অসুস্থতার ১০টি লক্ষণ

ছ‌বি: প্রতীকী

বর্তমান সমাজে মানসিক স্বাস্থ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু এখনও অনেকেই মানসিক অসুস্থতার প্রাথমিক লক্ষণগুলোকে অবহেলা করেন, কিংবা তা বুঝতেই পারেন না। ফলে সময়মতো চিকিৎসা না পাওয়ায় রোগীর অবস্থা আরও জটিল হয়ে পড়ে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণ রয়েছে যেগুলো মানসিক অসুস্থতার ইঙ্গিত হতে পারে। নিচে মানসিক অসুস্থতার ১০টি সাধারণ লক্ষণ তুলে ধরা হলো:

১. দীর্ঘস্থায়ী দুঃখবোধ বা বিষণ্ণতা

কোনো স্পষ্ট কারণ ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে মন খারাপ থাকা, আগ্রহহীনতা বা ক্লান্তিভাব মানসিক অবসাদের লক্ষণ হতে পারে।

২. অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বা ভয়

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, অজানা ভয় বা উদ্বেগ, যা দৈনন্দিন জীবনযাপনকে ব্যাহত করে, তা উদ্বেগজনিত রোগের সংকেত হতে পারে।

৩. হঠাৎ মেজাজ পরিবর্তন

অল্পতেই রেগে যাওয়া, অতিরিক্ত উত্তেজনা বা হঠাৎ বিষণ্ণ হয়ে পড়া— এসব আচরণ মানসিক অস্থিরতার ইঙ্গিত হতে পারে।

৪. সামাজিকতা থেকে বিচ্ছিন্নতা

বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে না চাওয়া, একা থাকতে চাওয়া, নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার প্রবণতা দেখা দিলে তা চিন্তার বিষয়।

৫. ঘুমের সমস্যা

নিয়মিত ঘুম না হওয়া, অতিরিক্ত ঘুমানো কিংবা ঘুম না আসা— এসব ঘুমজনিত সমস্যা মানসিক চাপ বা বিষণ্ণতার লক্ষণ হতে পারে।

৬. খাবারে অরুচি বা অতিরিক্ত খাওয়া

হঠাৎ করে ক্ষুধামান্দ্য অথবা অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা— দুটোই মানসিক ভারসাম্যহীনতার লক্ষণ হতে পারে।

৭. অপ্রয়োজনীয় অপরাধবোধ বা আত্মসমালোচনা

নিজেকে অকারণে দোষারোপ করা, নিজেকে তুচ্ছ মনে করা বা মূল্যহীন ভাবা মানসিক অসুস্থতার একটি বড় সংকেত।

৮. অতীত বা কাল্পনিক কণ্ঠ শোনা

যদি কেউ কানে কিছু কণ্ঠ শুনতে পান যা অন্যরা শুনছে না, তাহলে তা সিজোফ্রেনিয়ার মতো জটিল মানসিক রোগের লক্ষণ হতে পারে।

৯. একাগ্রতা ও স্মৃতিশক্তি হ্রাস

কাজে মন না বসা, সহজ বিষয় ভুলে যাওয়া বা চিন্তা করতে কষ্ট হওয়া— এসব উপসর্গ মানসিক চাপ বা অন্যান্য মানসিক রোগের ইঙ্গিত দিতে পারে।

১০. আত্মহত্যার চিন্তা বা আত্মনাশের প্রবণতা

সবচেয়ে বিপজ্জনক লক্ষণগুলোর একটি। জীবনের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেললে বা বারবার মৃত্যুর চিন্তা এলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

এই উপসর্গগুলোর এক বা একাধিক লক্ষণ দীর্ঘদিন থাকলে সেটি অবহেলা না করে দ্রুত মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। মানসিক স্বাস্থ্য যতটা গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক ততটাই জরুরি সময়মতো চিকিৎসা।

এম.কে.

×