ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২

২০২৫ সালে সামরিক বাজেটে শীর্ষ ১৫টি দেশের তালিকা

প্রকাশিত: ১০:২১, ৩০ জুন ২০২৫

২০২৫ সালে সামরিক বাজেটে শীর্ষ ১৫টি দেশের তালিকা

ছ‌বি: সংগৃহীত

২০২৫ সালের সামরিক বাজেটের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র প্রথম অবস্থানে অবস্থান করছে। এ বছরের যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাজেট দাঁড়িয়েছে প্রায় ৯৬২ বিলিয়ন ডলারে, যা বিশ্বে সবথেকে বড় এবং প্রায় চীনের বাজেটের চারগুণ। চীন দ্বিতীয় অবস্থানে থেকেও ২৪৬ বিলিয়ন ডলার বাজেটের পরিকল্পনা করেছে। ইউক্রেন ও গাজায় চলমান সংঘাত এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে বিশ্বজুড়ে সামরিক ব্যয় ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিশ্বের শীর্ষ পনেরোটি দেশ একসাথে প্রায় দুই ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় করছে, যা বৈশ্বিক সামরিক বাজেটের প্রায় তিন চতুর্থাংশের সমান। যুক্তরাষ্ট্রের বাজেটের বড় একটি অংশ যানবাহন ও স্বাস্থ্যসেবার খাতে ব্যয় হয়। এছাড়া তারা এখনো নতুন প্রজন্মের অস্ত্র যেমন দীর্ঘপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা ও সাবমেরিন নির্মাণে জোর দিচ্ছে।

ইউরোপে সামরিক ব্যয়ের রেকর্ড বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে জার্মানি ও যুক্তরাজ্যসহ অনেক দেশ তাদের প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়িয়েছে। জার্মানির বাজেট প্রায় ১০৯ বিলিয়ন ডলার এবং যুক্তরাজ্যের বাজেট ৮১ বিলিয়ন ডলারের উপরে উঠে গেছে। পোল্যান্ড তার জিডিপির ৪ শতাংশ প্রতিরক্ষা ব্যয়ে দিচ্ছে, যা NATO সদস্যদের মধ্যে অন্যতম। NATO দেশগুলো আগামী ২০৩৫ সালের মধ্যে জিডিপির ৫ শতাংশ বাজেট প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

মধ্যপ্রাচ্য ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলেও সামরিক ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। সৌদি আরব ও ইসরায়েল আকাশ প্রতিরক্ষা ও সুনির্দিষ্ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে। চীন তার সামরিক বাজেট ৭.২ শতাংশ বাড়িয়ে সামরিক আধুনিকীকরণ অব্যাহত রাখছে। একই সাথে জাপান ও অস্ট্রেলিয়া সাবমেরিন ও দূরপাল্লার আক্রমণ ক্ষমতা বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে। ভারতের সামরিক বাজেট ৭৯ বিলিয়ন ডলার, যেখানে “মেক ইন ইন্ডিয়া” প্রকল্পের অধীনে স্থানীয় অস্ত্র ও সরঞ্জামে বাজেটের প্রায় এক তৃতীয়াংশ খরচ করা হবে।

এই সব তথ্য থেকে স্পষ্ট যে, বিশ্বজুড়ে নিরাপত্তা ও সামরিক প্রতিযোগিতার তীব্রতা বাড়ছে এবং আগামী বছরগুলোতে এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে।

সূত্র: ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্ট

এম.কে.

×