
সংগৃহীত
Times of Israel–এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি এতটাই অগ্রসর ছিল যে, ইসরায়েল ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল।“Unlike Gaza 2023, Israel had been watching” অর্থাৎ, গাজা যুদ্ধের সময়ের মতো অবহেলা না করে, ইসরায়েল এবার ছিল সতর্ক।
তেহরানের ভ্যালাসার স্কয়ারে বিশাল বিলবোর্ডে দেখা গেছে, মুসলিম বিশ্ব একত্র হয়ে জেরুজালেমের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। প্যালেস্টাইন, ইরান, তুরস্ক, হিজবুল্লাহ, লেবানন, এমনকি পাকিস্তানের পতাকা হাতে মানুষ হেঁটে চলেছে ডোম অব দ্য রক–এর দিকে। এই ছবি প্রকাশ পেয়েছে টাইমস অব ইসরায়েলের রিপোর্টে, যার মাধ্যমে বুঝানো হয়েছে ইরান শুধু অস্ত্র নয়, মতাদর্শিকভাবেও যুদ্ধ শুরু করেছে।
IAEA-এর সর্বশেষ প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে, ইরান ৬০% ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে এবং তাদের মজুদ দিয়ে ৯টিরও বেশি পরমাণু বোমা তৈরি করা সম্ভব। ইসরায়েলের দাবি, এই মজুদ ব্যবহারের ছক ছিল অনেকটাই প্রস্তুত।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পরিস্থিতি মধ্যপ্রাচ্যের অস্তিত্ব সংকট তৈরি করতে পারে। ইরান যদি পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষায় এগিয়ে যায়, তবে পুরো অঞ্চল ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।ইসরায়েল ইতোমধ্যেই বিভিন্ন সাবটেরেইন বাংকার এবং গোপন স্থানে প্রতিরক্ষা জোরদার করেছে।
ইরান ও ইসরায়েলের এই অদৃশ্য পরমাণু দ্বন্দ্ব শুধু দুই দেশের নয়, সমগ্র মানবজাতির অস্তিত্বের ওপর এক চরম হুমকি। একপাশে ধর্মীয় বিশ্বাস, অন্যপাশে রাজনৈতিক আধিপত্য এই সংঘর্ষে হারিয়ে যেতে পারে সহজ-সরল মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তা।
বিশ্ব এখন দাঁড়িয়ে আছে এক নতুন শীতল যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে, যেখানে পরমাণু অস্ত্রের বোতাম চাপা শুধু সময়ের ব্যাপার। প্রশ্ন একটাই—বিশ্ব কি এবারও কেবল দেখে যাবে, না কি সময়ের আগেই জেগে উঠবে?
হ্যাপী