একাডেমিক এক্সিলেন্স বাড়াতে গবেষণাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে: পাবিপ্রবি উপাচার্য

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম. আব্দুল-আওয়াল বলেছেন, "বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক উৎকর্ষতা বৃদ্ধির জন্য গবেষণাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। শিক্ষার্থীদের গবেষণামুখী করে তুলতে আমরা নিয়মিতভাবে স্কলারশিপ ও অ্যাওয়ার্ড প্রদান করছি, যাতে তারা উৎসাহিত হয়।"

সোমবার (৩০ জুন) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভেনশন সেন্টারে ‘স্কলারশিপ অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রাম–২০২৫’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে ২১৫ জন মেধাবী ও আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়। একইসঙ্গে ১৫টি উদ্ভাবনী প্রকল্প উপস্থাপনকারী দলকে আর্থিক প্রণোদনা এবং সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়। ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও অভিভাবকদের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি ছিল।

অনুষ্ঠানে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আবির হাসান ও লোক প্রশাসন বিভাগের প্রভাষক নিশাত তাবাসসুম।

উপাচার্য বলেন, “২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর এতদিন পাবিপ্রবিতে কোনো জাতীয় সম্মেলন হয়নি, যা অত্যন্ত হতাশাজনক ছিল। তবে আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ইতোমধ্যে দুটি জাতীয় কনফারেন্স সফলভাবে আয়োজন করা হয়েছে, যা একাডেমিক উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।”

তিনি আরও বলেন, “আজ যেসব শিক্ষার্থী উদ্ভাবনী চিন্তা ও সৃজনশীল কাজ উপস্থাপন করেছে, তাদের আমরা শুধু আর্থিক সহায়তা দিইনি, সম্মাননাপত্রের মাধ্যমেও স্বীকৃতি দিয়েছি। অর্থ যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তার চেয়েও বেশি মূল্যবান এই স্বীকৃতি—যা একজন শিক্ষার্থীর আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতে মুখ্য ভূমিকা রাখে।”

তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, “আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিপুল প্রতিভা আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব হলো এই প্রতিভাকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরা এবং তাদের জন্য একটি উপযোগী একাডেমিক পরিবেশ নিশ্চিত করা।”

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শামীম আহসান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান খান এবং ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. রাশেদুল হক।

এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. ফজলুল হক, মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মীর খালেদ ইকবাল চৌধুরী এবং জীব ও ভূ-বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম। বক্তারা তাঁদের বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ও সহ-শিক্ষা কার্যক্রমে আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান।