
ছবি: জনকণ্ঠ
চুয়াডাঙ্গায় স্বাস্থ্য সহকারী পদে নিয়োগ নিয়ে একের পর এক অনিয়মের অভিযোগ উঠছে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও সঠিক নিয়ম না মানায় পরীক্ষার্থীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। লিখিত পরীক্ষায় অনুপস্থিত প্রার্থীর নাম উত্তীর্ণ তালিকায় থাকা, একাধিকবার কেন্দ্র ও সিট প্লান পরিবর্তন, এসএমএসে বিভ্রান্তিকর তথ্য পাঠানোর মতো ঘটনাগুলো এরই মধ্যে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
সর্বশেষ অভিযোগ উঠেছে ভাইভা তালিকায় নাম না থাকা এক পরীক্ষার্থীকে একান্তভাবে মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করিয়ে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে।
লিখিত অভিযোগে পরীক্ষার্থী মোছা. সুবর্ণা খাতুন (রোল নং: ২৪১৯১১০৫২২২) জানান, ভাইভার জন্য প্রকাশিত ২০৫ জনের তালিকায় রোল নং ১৮১৯৩৪০৩৩২৬৭ অন্তর্ভুক্ত ছিল না। পরবর্তীতে সংশোধিত বিজ্ঞপ্তিতে ওই রোল নম্বর যুক্ত করা হয় বলে কর্তৃপক্ষ দাবি করে। এরপর তাকে সবার শেষে একান্তভাবে ভাইভা নেওয়া হয় এবং পরবর্তীতে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। তার দাবি, এই পুরো প্রক্রিয়াটিই ছিল প্রশ্নবিদ্ধ ও অনিয়মপূর্ণ।
অপর আরেক পরীক্ষার্থী মো. সাজেদুর রহমান (রোল নং: ২৪১৯১১০৫৮২২) বলেন, লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরই এলাকায় গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, ১৮১৯৩৪০৩৩২৬৭ নম্বর রোলধারী প্রার্থীর চাকরি নিশ্চিত। ফলে আমি শুরুতে ভাইভা দিতে আগ্রহী ছিলাম না। পরে পরিবারের চাপে ভাইভা দিতে গেলে দেখি ওই মেয়েটি ভাইভা দিতে আসে, যদিও তালিকায় তার নাম ছিল না।
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, ভাইভার সময় একজন কর্মকর্তা ওই প্রার্থীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনার জন্য তো আমাদের ফোন গরম হয়ে গিয়েছিল। পরে সবার শেষে তার ভাইভা নেওয়া হয় এবং তিনিই চাকরি পান। এতে নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীরা লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে তদন্ত দাবি করেছেন এবং স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে একের পর এক অভিযোগ এই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রতি জনমনে আস্থার সংকট সৃষ্টি করছে।
এ ব্যাপারে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত সম্পন্ন করে দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
আবির