
ছবি: সংগৃহীত
একটি ‘হাস্যরসাত্মক মিম’ কীভাবে একজন পর্যটকের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের পথ বন্ধ করে দিলো, তা বিস্ময়ের উদ্রেক করেছে।
নরওয়ের ২১ বছর বয়সী ম্যাডস মিকেলসেন নামের এক তরুণ পর্যটককে যুক্তরাষ্ট্রের নিউআর্ক বিমানবন্দরে আটক করা হয় পাঁচ ঘণ্টার জন্য। কারণ? তার মোবাইল ফোনে ছিল মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেমস ডেভিড ভ্যান্স-এর টাক মাথার একটি ফটোশপ করা মিম!
মিকেলসেন জানান, US Customs and Border Protection (USCBP) কর্মকর্তারা তাকে জোর করে ফোন আনলক করান এবং ছবিগুলো স্ক্রল করতে থাকেন। ওই মিম দেখে এক কর্মকর্তা রেগে গিয়ে বলেন, “এটা একটা ভয়ংকর চরমপন্থী প্রচারণা”।
মিকেলসেন তখন পরিষ্কারভাবে জানান এটি শুধুই হাস্যরসের অংশ, কোনো রাজনৈতিক মতাদর্শ নয়। কিন্তু পরিস্থিতি তখনই বদলে যায়।
মিকেলসেন পরবর্তীতে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি জার্মানি ও নিউ মেক্সিকোতে আইনি ভাবে গাঁজা সেবনের কথা স্বীকার করেন, যেটি ঐ অঞ্চলে বৈধ হলেও US আইন অনুযায়ী বিদেশিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার কারণ হতে পারে।
তার অভিযোগ অনুযায়ী, তাকে জুতাসহ সব জিনিস খুলে রেখে, আলাদা ঘরে নিয়ে গার্ড দ্বারা পাহারায় রাখা হয়। স্ট্রিপ-সার্চ, ফিঙ্গারপ্রিন্টিং, রক্ত সংগ্রহ এমনকি তার নরওয়েজিয়ান পাসপোর্ট ভুল করে স্প্যানিশ হিসেবে লেবেল করা হয়।
পরবর্তীতে USCBP এক্সে (X) পোস্ট করে জানায়, “তাকে মিমের কারণে ফেরত পাঠানো হয়নি, বরং তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মাদক সেবনের কারণে।”
DHS-ও সেই বক্তব্য সমর্থন করেছে। তবে কাগজপত্রে আরেকটি কারণ লেখা ছিল—মিকেলসেন নাকি যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে চাকরির চেষ্টা করতে পারেন বলে সন্দেহ করা হয়।
মিকেলসেন বলেন, “আমি এই সরকারের অধীনে আর কখনো আমেরিকায় ফিরতে চাই না।”
USCBP-এর তথ্য অনুযায়ী, প্রতিদিন ১০ লক্ষ মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করে, আর তাদের মধ্যে মাত্র ০.০১ শতাংশের ডিভাইস চেক করা হয়। কিন্তু মিকেলসেন সেই বিরল সংখ্যার মধ্যেই পড়লেন—একটি মিমের কারণে।
মুমু ২