
পাকিস্তানের উত্তর ওয়াজিরিস্তানের মির আলী এলাকায় আত্মঘাতী হামলায় দেশটির সেনাবাহিনীর ১৩ জন সদস্য নিহত হয়েছেন। এই হামলায়। তিনজন বেসামরিক ব্যক্তি গুরুতরভাবে আহত হন। তাদের মধ্যে দুই শিশু ও এক নারী রয়েছেন।
এই ঘটনায় ভারতকে দায়ী করেছে পাকিস্তান। তবে হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে ভারত।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এবং প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট জারদারি বলেন, শহীদরা আমাদের প্রকৃত নায়ক, তাদের আত্মত্যাগ জাতি কোনোদিন ভুলবে না। তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদ সম্পূর্ণ নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে।”
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ বলেন, “ভারত-সমর্থিত সন্ত্রাসীরা কাপুরুষোচিত হামলা চালিয়েছে। জাতি শহীদদের স্যালুট জানায়।”
এদিকে হামলার ঘটনার পর পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির পেশোয়ার কর্পস সদর দপ্তর পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, ভারত-সমর্থিত জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী অসীম সাহসিকতা দেখিয়েছে এবং পুরো জাতি এই লড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, যারা এই হামলা করেছে, তাদের এবং তাদের মদদদাতাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। সেনাপ্রধান আরও বলেন, কেবল সেনাবাহিনী নয়, বেসামরিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধিও জরুরি। বিশেষ করে খাইবার পাখতুনখাওয়ার পুলিশকে আরও দক্ষ করতে হবে এবং সেনাবাহিনী তাদের পাশে থাকবে।
এদিকে পাকিস্তানে প্রাণঘাতী এই হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে ভারত। রোববার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওয়াজিরিস্তানে শনিবারের হামলার জন্য ভারতকে দায়ী করে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করছে তারা।
সানজানা