
এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ করেননি ৩২ শিক্ষার্থী। তারপরও তাঁদের নামে আসে প্রবেশপত্র। যথা সময়ে পরীক্ষায়ও অংশ গ্রহণ করেছেন। ফরম পুরণের কোনো তথ্য কলেজের প্রিন্সিপালের কাছে না থাকায় তিনি শিক্ষার্থীদের কাছে প্রশ্ন করে জানতে পারেন কারিগরী শাখার শিক্ষক মমতাজ উদ্দিন মুকুল কলেজকে না জানিয়ে ভিন্ন পন্থায় তাঁদের ফরম পূরণ করেছেন। এতে কলেজ বঞ্চিত হয়েছে প্রায় ২ লাখ টাকা থেকে। এমন ঘটনা ঘটেছে নান্দাইল উপজেলার মুশুলী ডিগ্রী কলেজে। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা জুড়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা চলছে।
জানা গেছে, বিষয়টি নিয়ে কলেজ পরিচালনা কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা অর্থ দ্রুত ফেরত দিতে। অন্যথায় তাঁর বিরুদ্ধ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। শিক্ষক মুকুল শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করলেও তিনি কলেজ কর্তৃপক্ষকে কেন অবহিত করেননি তা নিয়ে রহস্য দেখা দিয়েছে।
মুশুলী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আমিনুল হক বলেন, জেনারেল শাখা থেকে ৩২৩ জন এবং কারিগরী শাখা (বিএমটি) থেকে ১৪৮ জন পরীক্ষার্থী ফরম পূরণ করেছে। ২৩ জুন বোর্ড থেকে আসা প্রবেশপত্র পরীক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে কারিগরী শাখার ৩২ জন শিক্ষার্থী নিজেদের এইচএসসি পরীক্ষার্থী দাবি করে প্রবেশপত্র নিতে আসে। কিন্তু তাঁদের ফরম পূরণের কোনো তথ্য কলেজে ছিল না। তিনি শিক্ষার্থীদের কাছে প্রশ্ন করে জানতে পারেন কারিগরী শাখার শিক্ষক মমতাজ উদ্দিন মুকুলের কাছে ওরা ফরম পূরণের টাকা জমা দিয়েছে।
এই বিষয়ে শিক্ষক মমতাজ উদ্দিন মুকুল বলেন, সরল মনে শিক্ষার্থীদের উপকার করেছি। বিষয়টি এতো কঠিন হবে তা বুঝতে পারিনি। এখন কলেজ কর্তৃপক্ষকে লিখিত দিয়েছি (মুচলেখা)। দশদিনের মধ্যে সকল টাকা ফেরত দিবো।
এই বিষয়ে কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও সিনিয়র সহকারী সচিব মাসুদ রানা জানান, ওই শিক্ষককে টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছে। ফেরত দেওয়ার পরেই পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
মুমু