ছবি: জনকণ্ঠ
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে সমাবর্তন আয়োজনের চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে এক শিক্ষার্থীর প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। অনুষ্ঠানটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
উপাচার্য বলেন, “নিশ্চিত থাকো, এটা ধরে নাও যে আমার মেয়াদকালেই অবশ্যই একটি সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে। ইনশাআল্লাহ, অবশ্যই একটি সমাবর্তন হবে। আর শুনো, হ্যাঁ, আমার পরিকল্পনা আছে আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে একটি সমাবর্তন আয়োজন করার—যদিও ফেব্রুয়ারি মাসটা নির্বাচনের সময় হতে পারে, তবুও আমি চেষ্টা করব যেন সেটা ফেব্রুয়ারির মধ্যেই হয়, ফেব্রুয়ারি অতিক্রম না করে। ফেব্রুয়ারির আগেই আমি একটি সমাবর্তন আয়োজনের চেষ্টা করব—পরবর্তী বা তার পরের ইভেন্ট হিসেবে।”
তিনি আরও বলেন, “আর একটা বিষয় হঠাৎ আমার মাথায় এলো—আমি অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দেখেছি, তারা মিনি সমাবর্তনের আয়োজন করে। মিনি সমাবর্তন আয়োজন করতে খুব বেশি সময় লাগে না। তোমার গ্র্যাজুয়েশন এবং বর্ষ শেষ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পরপরই বিভাগ বা অনুষদ চাইলেই খুব সহজে মিনি সমাবর্তন আয়োজন করতে পারে। আমারও এমন কিছু আয়োজন করার ইচ্ছে আছে।”
অনুষ্ঠানে বিভাগটির সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিভাগটির অধ্যাপক ও অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ড. শাহজাহান আলী। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, টিএসসিসির পরিচালক অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন, বিভাগের অধ্যাপক ড. মমতাজুল ইসলাম, ড. মাহবুবর রহমানসহ অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এ পর্যন্ত মাত্র চারটি সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম সমাবর্তন হয় ১৯৯৩ সালের ২৭ এপ্রিল। দ্বিতীয়টি ১৯৯৯ সালের ৫ ডিসেম্বর, তৃতীয়টি ২০০২ সালের ২৮ মার্চ এবং সর্বশেষ চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৮ সালের ৭ জানুয়ারি। এরপর থেকে আর কোনো সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়নি।
শহীদ
