ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২

বেরোবি শিক্ষক তাবিউরের নিয়োগ জালিয়াতির অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন

এম কে পুলক আহমেদ, বেরোবি

প্রকাশিত: ১৯:০৮, ২৯ জুন ২০২৫

বেরোবি শিক্ষক তাবিউরের নিয়োগ জালিয়াতির অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন

ছবি: সংগৃহীত

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাবিউর রহমান প্রধানের বিরুদ্ধে ২০১২ সালে প্রভাষক পদে নিয়োগে জালিয়াতির অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে। হাইকোর্টের রুল ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চিঠির প্রেক্ষিতে গত ২৮ জুন ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১৩তম সিন্ডিকেট সভায় তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য ড. মো. শওকাত আলীর সভাপতিত্বে গঠিত এই তিন সদস্যের কমিটির সদস্যরা হলেন—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের প্রফেসর ড. এবিএম শাহিদুল ইসলাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের প্রফেসর (অবসরপ্রাপ্ত) শামসুল আলম সরকার এবং সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন বেরোবির রেজিস্ট্রার ড. মো. হারুন অর রশিদ।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নিয়োগ বোর্ডের সুপারিশপত্রে ‘কাটাছেঁড়া’ করে প্রকৃত প্রার্থী মো. মাহামুদুল হককে বঞ্চিত করে তাবিউর রহমানকে নিয়োগ দেওয়া হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তার নাম ‘কলমে বসানো’ হয়, যা জালিয়াতির শামিল।

অভিযোগ রয়েছে, তাবিউর রহমান দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে আওয়ামী লীগপন্থী শিক্ষক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাব খাটিয়ে চাকরিতে বহাল রয়েছেন। তিনি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে একাধিকবার দায়িত্ব পালন করেন এবং দলীয় মনোনীত প্রার্থীদের হয়ে নির্বাচনী প্রচারণাও চালান।

এ বিষয়ে সদস্য সচিব ড. হারুন অর রশিদ বলেন, “এর আগেও একটি তদন্ত কমিটি ছিল, তবে সিন্ডিকেটে কিছু পরিবর্তনের কারণে নতুন করে কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে। ইউজিসির নির্দেশনা অনুযায়ী এই তদন্ত হচ্ছে, এবং দ্রুতই এর সত্যতা বেরিয়ে আসবে।”

অভিযোগকারী মো. মাহামুদুল হক বলেন, “একজন অবৈধভাবে ১৩ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করছেন, অথচ এখনো তাকে বরখাস্ত করা হয়নি—এটা শুধু তাবিউরের নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের ব্যর্থতা।” তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, “তাবিউর কি এতটাই অপরিহার্য, নাকি বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ভয় পায়?”

আসিফ

আরো পড়ুন  

×