
ছবিঃ সংগৃহীত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) পূর্ণাঙ্গ আবাসিকতার রোডম্যাপ প্রদানসহ ৯ দফা আদায়ের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ রবিবার (২৯ জুন) সকাল ১০টার সময় এ কর্মসূচি শুরু হয় । প্রতিটি দাবি না আদায় হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা, 'অবৈধ সিন্ডিকেট ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও,'এই মুহুর্তে দরকার রাবি সংস্কার,' 'জুলাইয়ের অঙ্গীকার রাবি হবে সংস্কার,' 'নয় দফা নয় দফা পূরণ করো' ইত্যাদি স্লোগান দেন।
তাদের অন্য দাবিগুলো হলো, ১.পরীক্ষায় রোলবিহীন খাতা মূল্যায়ন ও খাতা চ্যালেঞ্জের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে, ২. ক্যাম্পাসে সপ্তাহে ৭ দিন, ২৪ ঘন্টা নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, ৩.বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারকে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল হিসেবে কার্যকর করতে হবে, ৪. প্রশাসনিক সকল কার্যক্রম ডিজিটাল ও অনলাইনভিত্তিক করতে হবে, ৫. হলের ডাইনিং-এ মানসম্মত খাবারের জন্য পর্যাপ্ত ভর্তুকি প্রদান করতে হবে, ৬. কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের অবকাঠামো ও প্রযুক্তিগত সংস্কার করতে হবে, ৭. পূর্ণাঙ্গ টিএসসিসি দ্রুত কার্যকর করতে হবে এবং রাকসুর পূর্ণাঙ্গ তফসিল অনতিবিলম্বে ঘোষণা করতে হবে।
অবস্থান কর্মসূচীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, এই দাবিগুলোর বিষয়ে এক মাসের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছিল প্রশাসনকে। এছাড়াও পনেরো দিন ধরে প্রত্যেক হল, ভবনে যাওয়া হয়েছে। প্রশাসনের সদিচ্ছা থাকলেই কেবল এই দাবিগুলো পূরণ করা সম্ভব। আমরা প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছি এই দফার কোনোটাই সম্ভব না। এই দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হলে আমরা সর্বোচ্চ অবস্থানে যাব।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী সজীব বলেন, শিক্ষার্থীদের এই দফা বাস্তবায়িত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আমূল পরিবর্তন ঘটবে বলে আমি মনে করি। এই দাবিগুলো প্রশাসনকে বাস্তবায়ন করতেই হবে। না হলে আমরা আরও কঠোর আন্দোলনের দিকে যাব।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সমাজকর্ম, ইসলামিক স্টাডিজ, লোকপ্রশাসন, দর্শনসহ বিভিন্ন বিভাগের কয়েকটি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে এ আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে।
মুমু