ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২

সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ট্রাম্পের ক্ষমতা বাড়লো, জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব নিয়েও বড় সিদ্ধান্ত!

প্রকাশিত: ১০:৪৩, ২৯ জুন ২০২৫; আপডেট: ১০:৪৪, ২৯ জুন ২০২৫

সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ট্রাম্পের ক্ষমতা বাড়লো, জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব নিয়েও বড় সিদ্ধান্ত!

ছ‌বি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট এক গুরুত্বপূর্ণ রায়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে রায় দিয়েছে। এই রায়ের ফলে ভবিষ্যতে প্রেসিডেন্টরা নির্বাহী আদেশ বাস্তবায়নে আগের চেয়ে বেশি স্বাধীনতা পাবেন। আদালত নিম্ন আদালতগুলোর দেশজুড়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করার ক্ষমতা সীমিত করে দিয়েছে।

হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের উদ্দেশে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, এটি সংবিধান, ক্ষমতার ভারসাম্য এবং আইনের শাসনের জন্য একটি “বড় বিজয়”।

এই রায়ের সরাসরি প্রভাব পড়বে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব নিয়ে ট্রাম্পের আলোচিত নির্বাহী আদেশের ওপর। যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নিলেই নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে না—ট্রাম্প প্রশাসনের এমন পরিকল্পনার বাস্তবায়নে এখন বড় ধরনের বাধা আর থাকছে না। এক মাস পর এই আদেশ কার্যকর হবে।

তবে, সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, যেসব ব্যক্তি বা রাজ্য এই আদেশের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করছে, তারা আদালতের শরণাপন্ন হতে পারবে। অনেক রাজ্যে জন্মসনদে বাবা-মায়ের নাগরিকত্ব লেখা হয় না। ফলে ডেমোক্র্যাট শাসিত রাজ্যগুলো দ্রুত এই আদেশ কার্যকর না করার পথ নিতে পারে।

বিচারপতি অ্যামি কনি ব্যারেট জানিয়েছেন, রাজ্যগুলো চাইলে এই আদেশে বড় পরিসরে বাধা চাওয়ার আইনি সুযোগ পাবে। তাই আইনি লড়াই এখনো শেষ হয়নি।

এ রায়ের ফলে শুধু জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব নয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আরও অনেক নীতিমালার বাস্তবায়নে সুযোগ তৈরি হলো। এর আগে নানা বিষয়ে প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্ত নিম্ন আদালত ঠেকিয়ে রেখেছিল—যেমন বিদেশি সাহায্য কমানো, অভিবাসন নীতির পরিবর্তন, এবং বিভিন্ন নির্বাচনী নিয়মে পরিবর্তন।

ট্রাম্প বলেন, “আমরা এখন আমাদের নীতিগুলো বাস্তবায়নের জন্য উপযুক্তভাবে পদক্ষেপ নিতে পারবো। অনেক সময় নষ্ট হয়েছে।”

বাইডেন বা ওবামা প্রশাসনের সময়ও এই ধরনের আইনি বাধা দেখা গিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ভবিষ্যতেও আদালত যদি কোনো আদেশকে অসাংবিধানিক মনে করে, তা আটকে দিতে পারবে। তবে তার আগে প্রেসিডেন্টের আদেশ কার্যকর হওয়ার সুযোগ থাকবে।

এই রায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং ভবিষ্যতের সব প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বাড়িয়ে দিল। এখন থেকে হোয়াইট হাউস কিছুটা বেশি স্বাধীনভাবে নীতি বাস্তবায়ন করতে পারবে, যদিও শেষ সিদ্ধান্ত আদালতের হাতেই থাকবে।

সূত্র: বিবিসি

এম.কে.

×