
করলা স্বাদে তেতো হলেও এটি একটি জনপ্রিয় ও পুষ্টিকর সবজি। বিশেষ করে এর অসাধারণ স্বাস্থ্যগুণের কারণে অনেকেই নিয়মিত করলা খেয়ে থাকেন। আমাদের দেশে করলা সাধারণত ভাজি করে খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। তবে করলা কাটার সময় অনেক সময় এর বীজও সবজির সঙ্গে রান্নায় চলে আসে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করলার বীজ আলাদা না করে রান্না করলে তা নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, করলার বীজ খেলে কী ধরনের সমস্যা হতে পারে:
১. হজমের সমস্যা
করলার বীজে লেকটিন নামক এক ধরনের প্রোটিন থাকে, যা অতিরিক্ত মাত্রায় শরীরে গেলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে পেট ব্যথা, বমি ভাব, ডায়রিয়া বা পেট ফাঁপার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এ ধরনের সমস্যা হজম প্রক্রিয়ার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
২. অ্যালার্জির ঝুঁকি
করলা অনেকের জন্য অ্যালার্জির কারণ হতে পারে, বিশেষ করে যাদের ত্বক সংবেদনশীল। এর বীজে থাকা ভিসিন নামক উপাদান অ্যালার্জি বাড়িয়ে দিতে পারে। ফলে ত্বকে চুলকানি, ফুসকুড়ি, শ্বাসকষ্ট কিংবা মুখ ও শরীরে ফোলাভাবের মতো প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
৩. গর্ভবতীদের জন্য ক্ষতিকর
গর্ভাবস্থায় করলার বীজ খাওয়া একেবারেই অনুচিত। এটি জরায়ুর সংকোচন ঘটাতে পারে এবং গর্ভধারণে জটিলতা তৈরি করতে পারে। তাই গর্ভবতী নারীদের করলা খাওয়ার সময় বীজ আলাদা করে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
৪. ওষুধের সঙ্গে বিরূপ প্রতিক্রিয়া
ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগে যারা ওষুধ গ্রহণ করছেন, তাদের করলার বীজ খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। করলার বীজ ওষুধের কার্যকারিতায় প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে এটি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা অতিরিক্ত কমিয়ে হাইপোগ্লাইসেমিয়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
রিফাত