
ছবি: সংগৃহীত।
টানা তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এবার বাংলাদেশকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের (EU) প্রতি আহ্বান জানাতে যাচ্ছে ইউক্রেন। তাদের দাবি—বাংলাদেশ রাশিয়ার মাধ্যমে ইউক্রেন থেকে ‘চুরি করা’ গম আমদানি করছে।
রয়টার্স-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া অধিকৃত ইউক্রেনের কৃষিপ্রধান অঞ্চলগুলো—ক্রিমিয়া, খেরসন, জাপরিজিয়া, দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক থেকে গম চুরি করে আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি করছে। ইউক্রেনের অভিযোগ, সেই চোরাই গম রাশিয়ার কফকাজ বন্দর থেকে আমদানি করছে বাংলাদেশি কিছু প্রতিষ্ঠান।
রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর বাংলাদেশ রাশিয়া থেকে গম আমদানিতে নির্ভরতা বাড়িয়েছে। শুধু ২০২৪ সালেই বাংলাদেশ রাশিয়া থেকে ২৭ লাখ টন গম আমদানি করেছে, যা পূর্বের তুলনায় ৪২ শতাংশ বেশি। একই সময়ে ইউক্রেন থেকে আমদানি হ্রাস পেয়েছে।
রয়টার্স জানায়, ভারতে নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ওলেকজান্ডার পোলিসচুক জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত কফকাজ বন্দর থেকে গম পরিবহন করা জাহাজগুলোর তালিকা, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও সম্ভাব্য আগমনের সময়সূচি উল্লেখ করে চারটি চিঠি পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। কিন্তু এসব চিঠির কোনো উত্তর দেয়নি ঢাকা।
এ পরিস্থিতিতে ইউক্রেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার দাবি জানাতে যাচ্ছে।
ইইউ’র পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তানীতি বিভাগের মুখপাত্র আনিতা হিপার বলেছেন, অভিযুক্ত জাহাজগুলো বর্তমানে কোনো নিষেধাজ্ঞার আওতায় না থাকলেও ইউক্রেনের অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হবে। যদি গম চুরি প্রমাণিত হয়, তাহলে ভবিষ্যতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে।
এ ব্যাপারে এখনও বাংলাদেশ বা রাশিয়ার পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নুসরাত