
ছবি: সংগৃহীত।
প্রয়োজন হলে ইরানে আবারও হামলা চালানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৭ জুন) হোয়াইট হাউসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই বক্তব্য দেন।
যুদ্ধবিরতির পরও ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা থামেনি। কূটনৈতিক স্তরে পাল্টাপাল্টি বক্তব্যের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টও যুক্ত হয়েছেন নতুন করে হুমকির সুরে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক পরমাণু সংস্থা (IAEA) কিংবা যুক্তরাষ্ট্র অনুমোদিত কোনো পর্যবেক্ষক সংস্থার পরিদর্শন ছাড়া ইরানের সঙ্গে কোনো ভবিষ্যৎ সমঝোতা সম্ভব নয়।
এদিকে ইরানের জাতীয় পরিষদ IAEA-র সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি স্থগিতের বিল পাস করেছে। এর জবাবে ট্রাম্প হুঁশিয়ার করে বলেন, “ইরান যদি আবার উচ্চমাত্রার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে শুরু করে, তাহলে হামলার প্রশ্নে কোনো দ্বিধা থাকবে না।”
নিজের সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম Truth Social-এ ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল মিলে সম্প্রতি ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। এতে এসব কেন্দ্র গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। এমনকি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি কোথায় লুকিয়ে ছিলেন, সে তথ্যও যুক্তরাষ্ট্রের জানা ছিল বলেও উল্লেখ করেন ট্রাম্প। যদিও তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়নি।
IAEA প্রধান জানিয়েছেন, ১৩ জুন থেকে ইসরায়েলের বিমান হামলা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত তারা ইরানে কোনো পরিদর্শন চালাতে পারেনি। তাদের মতে, এখন সেটিই সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “IAEA যদি জোর করে পরিদর্শন চালায়, তবে সেটি কোনো চুক্তির আওতায় পড়ে না এবং এর পেছনে অসৎ উদ্দেশ্য থাকতে পারে। ইরান জনগণের নিরাপত্তার জন্য যেকোনো পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।”
নুসরাত