
পূর্ব শত্রুতার জেরধরে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা এলোপাথারি ভাবে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে রাহাত হোসেন (২০) নামের এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে।
গুরুত্বর আহত রাহাতকে প্রথমে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শুক্রবার (২৭ জুন) রাতে তাকে (রাহাত) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আহত রাহাতের বড় ভাই রাজিব খান। বরিশালের মুলাদী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত ফরিদ খানের ছেলে রাহাত হোসেন মুলাদী সরকারি কলেজের চলমান এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। পরীক্ষা শুরুর আগের দিন (বুধবার) সন্ধ্যায় এ হামলার কারণে পরীক্ষা দেওয়া হলোনা রাহাতের।
রাহাতের বড় ভাই রাজিব খান জানান, গত বুধবার (২৫ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার মসজিদ মার্কেট এলাকায় বসে আকস্মিকভাবে স্থানীয় চিহ্নিত কিশোর গ্যাংয়ের লিডার নকীব ও রিয়াজের নেতৃত্বে তাদের অন্যান্য সহযোগিরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রাহাতের ওপর হামলা চালায়।
তারা এলোপাথারীভাবে কুপিয়ে রাহাতের শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুত্বর জখম করে। এসময় তার (রাহাত) চিৎকারে স্থানীয় এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা সটকে পরে। পরবর্তীতে গুরুত্বর আহত রাহাতকে উদ্ধার করে মুলাদী উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রাজিব খান আর জানান, আঘাত গুরুত্বর হওয়ায় ওইদিন রাতেই চিকিৎসকেরা রাহাতকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখান থেকে শুক্রবার (২৭ জুন) রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাহাতকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। এ হামলার কারণে গুরুত্বর আহত হওয়ায় চলতি এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি রাহাত। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
রাহাতের ভাই আরও জানান, অতিসম্প্রতি একটি ফুটবল খেলার বসে নকীব ও রিয়াজের সাথে রাহাতের বাগবিতন্ডা হয়। সে সময় নকীব ও রিয়াজ হুমকি দিয়েছিল রাহাতকে। সে কারণেই রাহাতের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।
হামলা চালিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখমের ঘটনায় রাহাতের মা মোরর্শেদা বেগম বাদি হয়ে শুক্রবার (২৭জুন) সন্ধ্যায় মুলাদী থানায় একটি হত্যা চেষ্টার মামলা দায়ের করেছেন।
মুলাদী থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য ইতোমধ্যে পুলিশ অভিযান শুরু করেছেন।
রাজু