
ছবি: সংগৃহীত
“লাল পতাকা মানেই বিপদ সংকেত”—এই সাধারণ সতর্কবাণী উপেক্ষা করে প্রতি বছর প্রাণ হারাচ্ছেন বহু পর্যটক কুয়াকাটার সমুদ্রসৈকতে। ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস কিংবা স্রোতের তীব্রতা বাড়লে লাইফগার্ড টিম লাল পতাকা টাঙিয়ে বিপদের বার্তা দেয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, অনেক পর্যটক এই সংকেত অগ্রাহ্য করে সমুদ্রে নেমে পড়েন এবং দুর্ঘটনার শিকার হন।
সতর্কতার সংকেত যেন উপেক্ষার শিকার
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, শুধু ২০২৪ সালেই ৯ জন পর্যটক সমুদ্রের ঢেউয়ে ভেসে প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের অধিকাংশই লাল পতাকা উড়তে দেখে সমুদ্রে নেমেছি কেন হয় এমন দুর্ঘটনা?
1.পর্যটকদের অনভিজ্ঞতা ও অসচেতনতা
2.পতাকা সংকেত সম্পর্কে অজ্ঞতা
3.পর্যাপ্ত প্রচার-প্রচারণার ঘাটতি
4.টিকিটিং বা গাইডের মাধ্যমে সতর্কতা না জানানো
ট্যুরিস্ট পুলিশ জানায়, কুয়াকাটায় এখন নিয়মিতভাবে সতর্কতা প্রচার, মাইকিং এবং গাইডদের মাধ্যমে পর্যটকদের সতর্ক করা হলেও অনেকেই তা উপেক্ষা করেন।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের ইনচার্জ মো. মাসুদ রানা বলেন, “আমরা চেষ্টা করি লাল পতাকা টাঙানো অবস্থায় পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে না দেওয়া। কিন্তু অনেকেই জোর করে নেমে যান, আর তখনই ঘটে দুর্ঘটনা।”
করণীয় কী?
1. লাল পতাকা দেখলে কোনোভাবেই সমুদ্রে না নামা
2. স্থানীয় গাইড বা পুলিশ সদস্যদের পরামর্শ মানা
3. পরিবার ও বন্ধুদের সতর্ক রাখা
4. শিশুসহ সমুদ্রে নামার সময় দ্বিগুণ সাবধানতা
5. লাইফগার্ড বা ট্যুরিস্ট পুলিশের মাইকিং শুনে চলা
বিনোদনের আনন্দ যেন জীবন কেড়ে না নেয়। একটি লাল পতাকা—হতে পারে বাঁচার শেষ সতর্কবার্তা। তাই সচেতন হোন, দায়িত্বশীল হন, নিরাপদে থাকুন। সচেতনতা ছড়াক—প্রাণ বাঁচুক।
Mily