ছবিঃ সংগৃহীত
বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেছেন, “একজন ব্যক্তি দুই মেয়াদ পরে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন, যদি তিনি যোগ্য, দক্ষ এবং জনগণের সমর্থন পান—তাহলে তাকে প্রতিযোগিতা থেকে সরিয়ে রাখাটা তার মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের শামিল।”
তিনি বলেন, “আমরা আগে বলেছিলাম—প্রধানমন্ত্রীর টানা তিন মেয়াদ নয়, দুই মেয়াদের পর বিরতি দিয়ে পুনরায় দায়িত্ব নেওয়ার সুযোগ রাখা উচিত। তবে অনেক আলোচনার পর আমরা ১০ বছরের সীমা প্রস্তাব করেছি, যেন একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত না হয়।”
শনিবার এক টেলিভিশনের আলোচনায় আজিজুল বারী হেলাল আরও বলেন, “বাংলাদেশের মতো ছোট অর্থনীতির দেশে একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠানকে নজরদারির নামে আরেকটি নতুন প্রতিষ্ঠান তৈরি করে সিস্টেম ভারাক্রান্ত করা হচ্ছে। এইভাবে নতুন প্রতিষ্ঠান গড়া হলে—প্রশ্ন উঠবে, সে কার কাছে দায়বদ্ধ থাকবে?”
তিনি বলেন, “দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) নিজের আইন নেই, সংবিধান বা সাধারণ আইনে সংস্কার ও পরিবর্তনের মাধ্যমেই দায়বদ্ধতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা সম্ভব। সংবিধান অনুযায়ী প্রতিটি নিয়োগ বা ক্ষমতার ব্যবস্থাপনায় যেসব প্রতিষ্ঠান আছে—সেগুলোর মধ্যে সমন্বয় ও ভারসাম্য বজায় রেখে নিয়োগ করা উচিত।”
হেলাল অভিযোগ করেন, “যেভাবে এখন নিয়োগ প্রক্রিয়া চলে—তা অনেকটাই অস্বচ্ছ। এই কারণে একসময় যে প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাধীন ও নিরপেক্ষ থাকার কথা ছিল, সেগুলো ক্ষমতাসীনদের প্রভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে উঠেছে।”
তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে স্বাধীন সংস্থা গড়ার পরিবর্তে ‘separation of powers’ নীতি কার্যকর করতে হবে। আইন বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ এবং বিচার বিভাগ—এই তিন বিভাগের পৃথকীকরণ নিশ্চিত না হলে, কোনো প্রতিষ্ঠানই কার্যকরভাবে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারবে না।”
আজিজুল বারী হেলালের মতে, “ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষার জন্যই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ভোটাধিকার ও জনগণের নির্বাচনী অধিকার ফিরিয়ে আনার লড়াইয়ে বিএনপি বারবার গণতন্ত্রের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছে।”
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, “আপনি যদি সংসদ, কমিশন, কিংবা বিচার বিভাগকে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী ক্ষমতার অধীনে রাখেন, তাহলে ‘স্বাধীন সংস্থা’র নাম করে যেটা তৈরি করছেন—তা কি আদৌ স্বাধীন থাকবে?”
আলীম
