ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৮ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২

হাসনাত আবদুল্লাহ

ঐ দুইটা লেখা আমি এখনও ‘অনলি মি’ করি নাই

প্রকাশিত: ২৩:৫৮, ২৭ জুন ২০২৫; আপডেট: ০০:০৪, ২৮ জুন ২০২৫

ঐ দুইটা লেখা আমি এখনও ‘অনলি মি’ করি নাই

ছবিঃ সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, “ঐ দুইটা লেখা আমি এখনও ‘অনলি মি’ করি নাই”, কারণ এখনো আমি নিজের চিন্তা ও অবস্থান থেকে সরে আসিনি।

সম্প্রতি একটি টকশোতে অংশগ্রহণ করে তিনি জানান, “আমার জীবনে এর আগে আমি কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য দেই নাই, মিছিলে যাই নাই, এক মিনিটের জন্যও ছাত্রলীগ করি নাই। বরং সবসময় ছাত্রলীগ, গেস্টরুম, গণরুম সংস্কৃতির বিরোধিতায় আমি ছিলাম এবং সেটা নিয়ে আন্দোলনের ইতিহাসও রয়েছে আমার।”

তিনি আরও বলেন, “২০১৬ সালের ডিসেম্বরে আমি ক্যাম্পাসে আসি এবং শুরু থেকেই ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেই। এমনকি ২০২০ সালের বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে সরকার যে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল, তা নিয়ে আমি সমালোচনামূলক একটি পোস্ট দেই—যার ক্যাপশনে শেখ মুজিবের নিজেরই একটি উক্তি ছিল: ‘যেই দেশের মানুষ খাইতে পায় না, যেই দেশের মানুষ এখনো বস্ত্র-বাসস্থানের যোগাড় করতে পারে নাই, তাদের আবার কিসের জন্মদিন?’ এই পোস্ট আমি এখনও অনলি মি করি নাই।”

হাসনাত বলেন, “আমি চাইলে পোস্টগুলো ‘অনলি মি’ করে দিতে পারতাম, কারণ গালাগালি, ট্রল, প্রশ্ন অনেক কিছুই সহ্য করতে হয়েছে। কিন্তু করি নাই, কারণ আমার চিন্তায় পরিবর্তন আসেনি। এমনকি ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত আমার লেখাতেও আমি বঙ্গবন্ধুকে দুটি দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিশ্লেষণ করেছি। সরকার ওই বছর বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন অত্যন্ত জমকালোভাবে পালন করে, অথচ সেই সময়ই ছিল করোনা শুরুর পরবর্তী সংকটময় সময়—হলগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল।”

তিনি অভিযোগ করেন, “ছাত্রলীগ আমাকে একবার ১১ তলায় নিয়ে গিয়েছিল, ঘাড় ধরে ফেলতে চেয়েছিল, রুম দখল করে নিয়েছিল। এমনকি পরীক্ষার আগের রাতেও আমাকে হল থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেছে।”

হাসনাতের ভাষ্য, “বিজয় ৭১ হলে আমি সবসময় ভোকাল ছিলাম ছাত্রলীগ বিরোধিতায়। এখনো আমি সেই অবস্থানে অটল। আমার দল এনসিপিও বিশ্বাস করে, নিজের ভুল হলে বা দলের ভেতরে অন্যায় হলে সেটারও সমালোচনা করতে হবে। আমরা নতুন রাজনৈতিক বন্ধুত্বের যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, সেটার অংশ হলো স্বচ্ছতা ও নীতিনিষ্ঠা।”

সূত্রঃ https://www.facebook.com/share/v/1YoNGiYnGQ/

ইমরান

×