
ছবি: সংগৃহীত।
শিশুর হাড় ও দাঁতের সঠিক গঠনের জন্য ক্যালসিয়াম অপরিহার্য। শুধু হাড় মজবুত করাই নয়, বরং ভবিষ্যতে হাড় ক্ষয়, দাঁতের সমস্যা এবং শরীরের সামগ্রিক বৃদ্ধির পেছনে ক্যালসিয়ামের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে শিশুরা অনেক সময় দুধ বা ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার খেতে চায় না। তাই অভিভাবকদের জানতে হবে কিভাবে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ক্যালসিয়াম তাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যায়—সাধারণ ৬টি উপায়েই এই কাজটা হয়ে যেতে পারে খুব সহজে!
১. বিভিন্ন ধরনের দুগ্ধজাত পণ্য দিন মেনুতে বৈচিত্র্য এনে
শুধু দুধই নয়, দই, ছানা, পনির (চিজ), কাস্টার্ড বা ঘরে তৈরি মিল্ক শেক দিয়েও ক্যালসিয়াম সহজেই শিশুর ডায়েটে যোগ করা যায়। সঠিক পরিবেশন শিশুর আগ্রহ বাড়ায়।
২. ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ সবজি যোগ করুন
শাকসবজি যেমন পালংশাক, মেথি, ব্রোকলি ইত্যাদিতে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম। এগুলো ঝোল বা খিচুড়িতে মিশিয়ে দিলেই শিশুরা সহজে খেতে পারবে।
৩. বাদাম ও বীজের স্মার্ট ব্যবহার
তিল, চিয়া সিড, আমন্ড বা চিনাবাদামে রয়েছে ক্যালসিয়াম। এগুলো পাউরুটির সঙ্গে, স্মুদি বা মিল্কশেকের উপরে টপিং হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।
৪. ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ ব্রেকফাস্ট সিরিয়াল দিন
অনেক ধরনের সিরিয়াল ও ওটসে এখন ফোর্টিফায়েড ক্যালসিয়াম থাকে। দুধে ভিজিয়ে শিশুকে মজার করে পরিবেশন করলেই খুশি মনে খাবে।
৫. ডিম ও মাছ যুক্ত করুন প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায়
ডিমের কুসুম ও ছোট মাছ (যেমন শিং, মাগুর, ইলিশ) ক্যালসিয়ামের দারুণ উৎস। ছোট মাছ ভেজে বা পাতলা ঝোলে দিলে শিশু সহজে খেতে পারে।
৬. ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ হেলদি স্ন্যাকস তৈরি করুন
দুধ ও ফল দিয়ে বানানো হোমমেড আইসক্রিম, মিল্ক বার বা ফলভিত্তিক পুডিং শিশুর জন্য সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর ক্যালসিয়াম বিকল্প হতে পারে।
শিশুর ক্যালসিয়াম চাহিদা পূরণে জোর করে নয়, বরং ভালোবাসা আর কৌশলের মাধ্যমে খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা সবচেয়ে কার্যকর। তাই খাবারকে করে তুলুন মজাদার, উপস্থাপনাকে রাখুন আকর্ষণীয়—দেখবেন শিশুরা নিজেরাই আগ্রহ নিয়ে খাবে। আর তাদের ভবিষ্যৎও হবে মজবুত ও সুস্থ।
নুসরাত