
ছবি: সংগৃহীত
কিডনি আমাদের দেহের একটি নীরব যোদ্ধা। প্রতিদিন ৫০ গ্যালন রক্ত ফিল্টার করে যে জোড়াটি আমাদের শরীরকে বিষমুক্ত রাখে, তাদের যত্ন নেওয়া একান্ত জরুরি। তবে কেবল সচেতন থাকলেই যথেষ্ট নয়—প্রয়োজন কার্যকর নিয়ম মেনে চলা।
বিশ্বখ্যাত নেফ্রোলজিস্ট ও কিডনি বিশেষজ্ঞ ড. রিচার্ড জনসন, যিনি ডেনভার ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের চিকিৎসক এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শদাতা হিসেবেও খ্যাত, তিনি কিডনি সুস্থ রাখার জন্য ৮টি "লাইফ-চেঞ্জিং" নিয়মের কথা বলেছেন।
চলুন জেনে নিই সেই অমূল্য নিয়মগুলো—
✅ ১. পর্যাপ্ত পানি পান করুন
প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন। পানির অভাবে কিডনিতে জমে থাকা বর্জ্য ক্ষতি করতে পারে।
✅ ২. নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করুন
ড. জনসনের মতে, "উচ্চ রক্তচাপ কিডনি নষ্টের নীরব ঘাতক।" তাই ৩ মাস অন্তর রক্তচাপ মাপুন।
✅ ৩. সুসংযত ডায়েট মেনে চলুন
লবণ ও প্রক্রিয়াজাত খাবার কমিয়ে দিন। পটাশিয়াম ও ফসফরাস নিয়ন্ত্রিত খাবার কিডনির জন্য উপকারী।
✅ ৪. রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখুন
ডায়াবেটিস কিডনি বিকলের অন্যতম বড় কারণ। রক্তে গ্লুকোজ মাত্রা নিয়মিত মাপা জরুরি।
✅ ৫. প্রতিদিন হালকা ব্যায়াম
করুন ১৫-৩০ মিনিট হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম কিডনি ও হৃৎপিণ্ডের জন্য দারুণ উপকারী।
✅ ৬. অপ্রয়োজনীয় ওষুধ এড়িয়ে চলুন
নন-স্টেরয়ডাল ব্যথানাশক (NSAIDs) বেশি ব্যবহার করলে কিডনির ওপর চাপ পড়ে।
✅ ৭. ধূমপান ও অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকুন
ড. জনসনের ভাষায়, "একটি সিগারেটও কিডনির রক্ত চলাচলে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।"
✅ ৮. নিয়মিত কিডনি চেকআপ করুন
বয়স ৪০ পার হলে বছরে অন্তত একবার কিডনি ফাংশন টেস্ট (eGFR, Creatinine) করা উচিত।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই নিয়মগুলো প্রতিদিন মেনে চললে কিডনির ক্ষয় ঠেকানো সম্ভব। ড. জনসন বলেন, "আপনার দৈনন্দিন জীবনের ছোট কিছু অভ্যাসই কিডনিকে দীর্ঘদিন সুস্থ রাখতে পারে।"
আসিফ