ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৭ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২

জীবনসঙ্গী কি পূর্বনির্ধারিত নাকি মানুষের কর্মফল?

প্রকাশিত: ২২:১৩, ২৬ জুন ২০২৫

জীবনসঙ্গী কি পূর্বনির্ধারিত নাকি মানুষের কর্মফল?

ছবি: সংগৃহীত।

জীবনসঙ্গী—এই শব্দটি মানুষের জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকে—“আমার জীবনসঙ্গী কে হবেন, তা কি আগেই নির্ধারিত? নাকি এটি আমার কর্মফল বা পছন্দের ফল?”

ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা যায়, বিয়ে বা জীবনসঙ্গীর বিষয়টি আল্লাহ তাআলার লিখিত তাকদিরের অন্তর্ভুক্ত। তবে এর পাশাপাশি মানুষকে পছন্দ করার ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বাধীনতাও দিয়েছেন আল্লাহ।

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “প্রত্যেক সন্তানের জন্মের আগেই তার রিজিক, আয়ু, আমল এবং সে সুখী হবে না দুঃখী হবে—সব কিছু লিখে দেওয়া হয়।” (সহিহ মুসলিম) এ থেকে বোঝা যায়, জীবনসঙ্গীও পূর্বনির্ধারিত বিষয়গুলোর একটি। তবে ব্যক্তি চাইলে নিজের ইচ্ছা ও দোয়ায় কল্যাণ কামনা করতে পারেন।

নির্দিষ্ট কাউকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পাওয়ার দোয়া জায়েয?

অনেকেই দ্বিধায় থাকেন—কাউকে ভালো লাগলে তার সঙ্গে বিয়ের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা ঠিক হবে কি না? ইসলামী শরিয়তের ব্যাখ্যায়, যদি কারও প্রতি ইতিবাচক অনুভূতি থাকে, তবে আল্লাহর কাছে এভাবে দোয়া করা উত্তম—“হে আল্লাহ! যদি অমুক ব্যক্তি আমার জন্য কল্যাণকর হয়, তাহলে আমাদের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে দাও। আর যদি ক্ষতির কারণ হয়, তাহলে আমাদের মধ্যে দূরত্ব করে দাও।”

এই দোয়ায় একজন ব্যক্তি নিজের চাওয়াটা পেশ করার পাশাপাশি আল্লাহর হিকমতকে অগ্রাধিকার দেন, যা ইসলামী আদর্শের সঙ্গে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যপূর্ণ।

ইসলামের আলোকে জীবনসঙ্গী নির্ধারণ যেমন আল্লাহর কুদরত ও পরিকল্পনার অংশ, তেমনি মানুষকেও দায়িত্ববান ও সচেতনভাবে পছন্দ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। আর সবকিছুর আগে ও পরে রয়েছে—আল্লাহর ওপর ভরসা, দোয়া, ও তাকওয়া।
 

সায়মা ইসলাম

×