
ছবি: প্রতীকী
অভিশপ্ত জাতি হিসেবে পরিচিত ইহুদিরা ইতিহাসজুড়ে অসংখ্য নবী এবং ধর্মপ্রাণ মানুষকে হত্যা করেছে। এই নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডই তাদের জন্য অভিশাপ বয়ে এনেছে।
তাদের অপরাধ এতটাই ঘৃণ্য ছিল যে, মহান আল্লাহ নিজেই সূরা বাকারার ৬১ নম্বর আয়াতে ইরশাদ করেন:
“আর তাদের উপর লাঞ্ছনা ও অসহায়ত্বের ছাপ মেরে দেওয়া হলো, এবং তারা আল্লাহর গজব নিয়ে ফিরল। এর কারণ, তারা আল্লাহর আয়াতসমূহ অস্বীকার করত এবং নবীগণকে অন্যায়ভাবে হত্যা করত। তারা নাফরমানি করেছিল এবং সীমালঙ্ঘন করত।” (সূরা আল-বাকারা: ৬১)
তারা কেবল নবী হত্যাতেই সীমাবদ্ধ ছিল না। তারা ঈসা আলাইহিস সালাম এবং নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকেও হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল। কিন্তু আল্লাহ তা’আলা নিজ কুদরতে ঈসা (আ.)-কে আসমানে তুলে নিয়েছেন এবং রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে রক্ষা করেছেন।
ইতিহাস ও তাফসির গ্রন্থসমূহে বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত আছে যে, ইহুদিরা হযরত ইয়াহিয়া (আ.)-কে হত্যা করেছিল। অধিকাংশ বর্ণনায় বলা হয়, তার পিতা হযরত জাকারিয়া (আ.)-কেও তারা হত্যা করেছিল। এছাড়া কিছু বর্ণনায় আরমিয়া (আ.) ও আশিয়া (আ.)-এর নামও উঠে আসে।
ইহুদিদের অপরাধ কেবল হত্যা নয়; তারা নবীদের প্রতি অবাধ্যতা, বিদ্রোহ এবং সীমালঙ্ঘনের মতো জঘন্য পাপেও লিপ্ত ছিল। আল্লাহর পক্ষ থেকে নবীরা যখন সত্য, ন্যায় ও তাওহীদের বাণী নিয়ে আসতেন, তখন তারা সেই বাণী মেনে চলার পরিবর্তে নবীদেরই অস্বীকার করত, কষ্ট দিত এবং শেষ পর্যন্ত হত্যা করত।
তবে কোরআন ও সহিহ হাদিসে নির্দিষ্টভাবে কোন কোন নবী ইহুদিদের হাতে নিহত হয়েছেন—তা বিস্তারিতভাবে বলা হয়নি। তবে ইসলামী ঐতিহাসিক ও তাফসিরবিদদের মতে, অন্তত তিনজন নবী—আশিয়া (আ.), জাকারিয়া (আ.) ও ইয়াহিয়া (আ.)—ইহুদিদের হাতে শহীদ হন।
নুসরাত