
প্রায় দুইশ' বছরের পুরনো উপ-মহাদেশের সর্ববৃহৎ বরিশাল মহাশ্মশানের কমিটি নিয়ে রশি টানাটানি শুরু হয়েছে। পূর্বের কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সনাতন ধর্মাবলম্বী চার শতাধিক মানুষের উপস্থিতিতে নতুন কমিটি গঠণ করা হলেও তা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মহাশ্মশানের নেতৃবৃন্দরা।
বুধবার (২৫ জুন) দিবাগত রাতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বর্তমান কমিটির নেতৃবৃন্দরা জানিয়েছেন, কতিপয় ব্যক্তি নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য নানা অপপ্রচার শুরু করেছেন।
মহাশ্মশান কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজয় ভক্ত জানান, প্রতিষ্ঠার পর থেকে মহাশ্মশানটি সনাতন ধর্মাবলম্বী গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতি এবং সর্ব সম্মতিক্রমে কমিটি গঠনের পর সকল কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে।
তারই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ১৮ অক্টোবর পূর্বের কমিটির সভাপতি মানিক মূখার্জি কুডু, যুগ্ম সম্পাদক জয়ন্ত কুমার দাস, অমৃত পরিবারের সদস্য মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ভানুলাল দে, সাধারণ সম্পাদক গোপাল চন্দ্র সাহা, বরিশাল প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মানবেন্দ্র বটব্যাল, হিন্দু কমিউনিটির নেতা সুরঞ্জিৎ দত্ত লিটু, অ্যাডভোকেট অনিল চন্দ্র দে ও মুক্তিযোদ্ধা ললিত দাসসহ অন্যান্যদের উপস্থিতিতে কণ্ঠভোটের মাধ্যমে অসীম কুমার দাস মুরালী সভাপতি ও বিজয় ভক্ত সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
নতুন কমিটির নেতৃবৃন্দরা কোনধরনের ফান্ড ছাড়াই বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে অনুদান নিয়ে ইতোমধ্যে ২৫ লাখ টাকার উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। এরমধ্যে পুকুরে একটি ঘাটলা নির্মানসহ ভাঙন থেকে সমাধি মন্দির রক্ষায় আরসিসি ঢালাই দিয়ে পুকুরের চারিপাশে গাইড ওয়াল নির্মান করা হয়েছে। পুকুরে চারিপাশে সৌন্দর্য্য বর্ধনে লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়।
নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজয় ভক্ত অভিযোগ করে বলেন, এসব উন্নয়নমূলক কাজ দেখে ঈশ্বানিত হয়ে একটি মহল নানা অপপ্রচার শুরু করে হিন্দু সমাজের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।
ইতোমধ্যে তাদের ষড়যন্ত্রের অংশহিসেবে বরিশালের হিন্দু সম্প্রদায়ের অভিভাবক বিজয় কৃষ্ণ দে’কে ভুল বুঝিয়ে পরিস্থিতি জটিল করার চেষ্ঠা অব্যাহত রেখেছেন।
নবগঠিত কমিটির সভাপতি অসীম কুমার দাস মুরালী বলেন, এ যাবৎকালে যতো কমিটি হয়েছে তা মৌখিক ভোটের মাধ্যমেই হয়েছে। আমাদের কমিটিও সেই একই প্রক্রিয়ায় গঠণ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, কমিটি গঠনের পর যখন আমরা উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করেছি, ঠিক তখনই একটি গ্রুপ আমাদের কমিটি অস্বীকার করে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। যা কোনভাবেই কাম্য নয়। তিনি (সভাপতি) নিজেদের মধ্যে বিভেদ সৃস্টি না করে ভালো কাজের জন্য সকলের সহযোগীতা কামনা করেছেন।
রাজু