
ছবি: সংগৃহীত
তরুণ বয়সে হঠাৎ বুক ধরফর বা হার্টবিট বেড়ে যাওয়া অনেক সময়েই অবহেলা করা হয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি কোনো গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকির ইঙ্গিতও হতে পারে। তাই এই লক্ষণকে অবহেলা না করে সচেতন হওয়া জরুরি।
বুক ধরফর কী কারণে হয়? বিশেষজ্ঞদের মতে, বুক ধরফর বা প্যালপিটেশন হওয়ার কারণ হতে পারে—
* অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ
* ঘুমের অভাব
* মানসিক চাপ বা উদ্বেগ
* থাইরয়েডের সমস্যা
* অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা
* হৃদ্যন্ত্রের অনিয়মিত স্পন্দন (Arrhythmia)
বিশেষজ্ঞ কী বলছেন?
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সিনিয়র কার্ডিওলজিস্ট ডা. মো. জাকারিয়া হোসেন বলেন, “তরুণ বয়সে বুক ধরফরের ঘটনাগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ক্ষণস্থায়ী এবং জীবনঘাতী নয়। তবে যদি এর সঙ্গে মাথা ঘোরা, বুকব্যথা, শ্বাসকষ্ট, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া বা অতিরিক্ত দুর্বলতা দেখা দেয়, তবে তা হৃৎপিণ্ডের জটিলতার লক্ষণ হতে পারে। এ ধরনের উপসর্গ থাকলে অবিলম্বে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিত।”
কখন দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়?
ডা. জাকারিয়া আরও জানান, যেসব ক্ষেত্রে বুক ধরফর বেশি সময় ধরে থাকে, বারবার হয় কিংবা ঘুমের মধ্যে বা বিশ্রামের সময়ও অনুভূত হয়, সেগুলো সাধারণত ইসিজি বা হোল্টার মনিটরের মাধ্যমে পরীক্ষা করা দরকার। এতে ধরা পড়তে পারে ‘অ্যারিদমিয়া’, যা হার্টের ছন্দে গোলযোগ।
কী করবেন?
* নিয়মিত ঘুম ও সুষম খাবার গ্রহণ করুন
* মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন
* ধূমপান ও অতিরিক্ত ক্যাফেইন এড়িয়ে চলুন
* বুক ধরফর হলে সঙ্গে সঙ্গে না ঘাবড়ে বিশ্রাম নিন
* উপসর্গ দীর্ঘস্থায়ী হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন
শেষ কথা:
তরুণ বয়স মানেই নিশ্চিন্ত শরীর নয়। যদি বারবার বুক ধরফরের মতো ঘটনা ঘটে, তাহলে তা নিছক মানসিক চাপের ফল নাও হতে পারে। দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যান। কারণ, আগেভাগে সচেতনতা আপনাকে বড় বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারে।
আসিফ